রহস্যময় সেই অভিনেত্রী এখনো একা
বলিউডের এই অভিনেত্রীর সঙ্গে ‘রহস্যময়’ তকমা ভালোই যায়। সাদা পোশাকে তাঁর উপস্থিতি মানেই একধরনের আভিজাত্যের প্রতীক। সেই অভিনেত্রীই একসময় প্রেমে পড়েছিলেন ৬৯ বছরের এক প্রতিবেশীর, রাজ কাপুরের সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছিল, শশী কাপুর তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ ছিলেন। তিনিই সিমি গারেওয়াল।
বলিউডের পর্দা ও পর্দার বাইরে সমান আলোচিত ছিলেন সিমি। তাঁর প্রেমজীবন যেন সিনেমার মতোই নাটকীয়। রাজকীয় পরিবার থেকে শুরু করে শিল্পপতি, ক্রীড়াবিদ—অনেকের সঙ্গেই তাঁর নাম জড়িয়েছে। কিন্তু জীবনের সব অভিজ্ঞতার পরও তিনি আজও একা।
সতেরোতেই প্রেম এক রাজার সঙ্গে
মাত্র ১৭ বছর বয়সে সিমি প্রেমে পড়েছিলেন জামনগরের মহারাজার, যাঁর বয়স তখন ৬৯। বয়সের বিশাল ব্যবধান সত্ত্বেও সম্পর্কটা আলোচনায় আসে। পরে তাঁর জীবনে আসেন শিল্পপতি রতন টাটা, যাঁর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও বহু চর্চা হয়েছে।
সিমির নাম একসময় যুক্ত হয়েছিল নবাব মনসুর আলী খান পতৌদির সঙ্গেও। পরে ১৯৭০ সালে তিনি বিয়ে করেন দিল্লির চুননামাল পরিবারের সদস্য রবি মোহনকে, কিন্তু প্রায় এক দশকের মধ্যেই সে সংসার ভেঙে যায়।
রাজ কাপুরের সঙ্গে সম্পর্ক
‘মেরা নাম জোকার’-এর শুটিংয়ে রাজ কাপুরের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। রাজ কাপুরকে তিনি বরাবরই নিজের ‘গডফাদার’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গুজব থাকলেও সিমি সব সময় বলেছেন, ‘রাজজি ছিলেন আমার প্রেরণা, তিনি আমার হৃদয়ের খুব কাছের মানুষ।’
শশী কাপুরের প্রশংসা
এক সাক্ষাৎকারে সিমি নিজেই জানিয়েছিলেন, এক দৃশ্যের সময় শশী কাপুর নাকি থেমে গিয়ে বলেছিলেন, ‘তুমি এত সুন্দর যে সংলাপ ভুলে যাচ্ছি!’
সিমিকে কে ভুলতে পারে
যুক্তরাজ্যে জন্ম, কিন্তু বড় হওয়া ভারতে। সত্তরের দশকে সিমি বলিউডে পরিচিত হন তাঁর পরিমিত অভিনয় ও চিরন্তন সৌন্দর্যের জন্য। ‘মেরা নাম জোকার’, ‘কারিশমা’—সবই তাঁর সেরা কাজের মধ্যে পড়ে।
অভিনেত্রী হিসেবে যেমন সফল, তেমনি উপস্থাপক হিসেবেও সিমি গারেওয়াল ছিলেন অনন্য। তাঁর অনুষ্ঠান ‘রঁদেভু উইথ সিমি গারেওয়াল’-এ বলিউডের বড় বড় তারকা নিজেদের জীবনের অজানা কথা খুলে বলতেন অকপটে।
আজও সাদা পোশাকে সিমি
আজও তাঁকে দেখা যায় সাদা পোশাকেই—যেন সেই শান্ত, মার্জিত উপস্থিতির প্রতীক হয়ে উঠেছে। অনেক প্রেম, অনেক সম্পর্ক, তবু আজও তিনি একা, নিজের মতো করে বাঁচছেন বলিউডের এই চিরকালীন রহস্যময় নায়িকা।
ইন্ডিয়াডটকম অবলম্বনে