‘টুয়েলভথ ফেল’ তারকা যে কারণে অভিনেত্রী হতে চাননি

মেধা শংকর। ইনস্টাগ্রাম থেকে

বাড়িতে সবাই আদ্যোপান্ত পড়ুয়া। তাই অভিনয়জগতে আসতে মেধাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। তবে শুরুতে তিনিও চাননি অভিনয়কে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘টুয়েলভথ ফেল’ অভিনেত্রী মেধা শংকর তাঁর অভিনয়ে আসার গল্প বলেছেন।

আরও পড়ুন

বিধু বিনোদ চোপড়া পরিচালিত ‘টুয়েলভথ ফেল’ ছবির পর থেকে বিক্রান্ত ম্যাসি ও মেধা শংকরকে ঘিরে সবার কৌতূহল তুঙ্গে। মুম্বাইয়ের মেয়ে হলেও মেধার বেড়ে ওঠা দিল্লিতে। তবে অভিনয়ের টানে আবার মুম্বাইয়ে ফিরে এসেছিলেন তিনি।

অভিনয়জগতে আসা প্রসঙ্গে মেধা বলেছেন, ‘আমার বাবা, দাদা, সবাই পড়াশোনায় ভালো। মায়ের নাটক লেখার শখ ছিল। আমার মনে হয়, মাকে দেখেই আমার অভিনয়জগতে আসার ইচ্ছাটা জন্মেছে। তবে শুরুতে মোটেও অভিনেত্রী হতে চাইনি। কারণ, অভিনেত্রীদের যে চাকচিক্য থাকে, আমার মোটেও পছন্দ নয়।’

মেধা শংকর। ইনস্টাগ্রাম থেকে

মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মেধা। ধীরে ধীরে অভিনয়জগতে পা রাখেন তিনি। মুম্বাইয়ে এসে নিজের ক্যারিয়ার শুরু প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘কাস্টিং ডিরেক্টরদের আস্থা অর্জন করতে আমার এক বছরের বেশি সময় লেগেছিল। আমি তখন রোজ অডিশন দিতাম। অডিশন দেওয়া আমার জন্য ৯-৫টার চাকরির মতো হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ব্রিটিশ মিনি সিরিজ ‘বেকহ্যাম হাউস’ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম। এরপর আরও বেশ কিছু প্রকল্পে কাজ করেছি। তবে টুয়েলভথ ফেল-এর অডিশন দেওয়ার সময় জানতাম না যে এ ছবির জন্য অডিশন দিচ্ছি। পরে জানতে পারি, চরিত্রটি বাস্তব থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে।’

বিক্রান্তের মতো তুখোড় অভিনেতার সঙ্গে কাজ করা প্রসঙ্গে মেধা বলেছেন, ‘সেটে আমাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। আর বিক্রান্ত আমাকে ভীষণভাবে সহায়তা করেছে। সেটে ওর সব দিকেই নজর থাকত। সে অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। আমি যদি কোনো কারণে উৎকণ্ঠায় থাকতাম, বিক্রান্ত ঠিক তা বুঝতে পারত। ও আমার চিন্তা দূর করার চেষ্টা করত।’

‘টুয়েলভথ ফেল’ ছবিটি বড় পর্দার পর ওটিটিতে মুক্তির পরও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। যাঁরা হলে দেখতে পারেননি, তাঁরা সিনেমাটির প্রশংসা করে সামাজিক মাধ্যমে লেখালেখি করেছেন।

মেধা শংকর। ইনস্টাগ্রাম থেকে

এই ছবির সাফল্য প্রসঙ্গে মেধা জানিয়েছেন, ‘টুয়েলভথ ফেল-এর পর আমার জীবনটাই বদলে গেছে। বিধু বিনোদ স্যার আমাকে যেভাবে পর্দায় তুলে ধরেছেন, সে জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা জানতাম, ছবিটি দর্শক পছন্দ করবেন। তবে আমাদের এই ছবি প্রেক্ষাগৃহে ও ওটিটিতে এভাবে যে ঝড় তুলবে, তা আগে আমরা বুঝতে পারিনি। আমি সিনেমাজগতের অনেকের থেকে অভিনন্দন বার্তা পেয়েছি।’