‘এক বাটি ডাল পেয়েই কত খুশি হয়েছিলাম’

রোহিত রায়। আইএমডিবি

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে নানা ধরনের সিনেমা করেছেন। নায়ক, খলনায়ক—সব ভূমিকাতেই দেখা গেছে তাঁকে। ‘আদালত’ ধারাবাহিক দিয়ে ছোট পর্দার দর্শকের কাছেও পেয়েছেন ব্যাপক জনপ্রিয়তা। কিন্তু জানেন কি, জীবনের প্রথম ভাগ দুঃস্বপ্নের মতো কেটেছে তাঁর। অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে খাবার কেনার টাকাও ছিল না।

এই অভিনেতা আর কেউ নন, রোনিত রায়। অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন ১৯৯২ সালে ‘জান তেরে নাম’ ছবির মধ্য দিয়ে। তবে ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ায় কাজের সংকটে পড়েন রোনিত রায়। সেই কঠিন সময়ের স্মৃতি এখনো তাঁকে আলোড়িত করে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের সেই সংগ্রামের দিনগুলোর কথা বলতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি।

‘উড়ান’ অভিনেতা হিন্দি রাশ পডকাস্টে জানালেন বলিউডে প্রথম সুযোগ পাওয়ার আগেই কতটা চরম দারিদ্র্যের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। ‘কেন যে আমার ক্যারিয়ার শুরুতেই চলেনি, জানি না। আগে এটা নিয়ে অনেক ভেবেছি, এখন আর ভাবি না। আমি নিজের জগতে থাকতে পছন্দ করতাম, কারও কাছে কাজ চাইতাম না। হয়তো এ জন্যই মানুষও আমাকে ডাকত না,’ বলেন তিনি।

রোনিত রায়। অভিনেতার ইনস্টাগ্রাম থেকে

রোনিতের কণ্ঠ ভিজে আসে তখন, যখন তিনি স্মরণ করেন এক ধাবা মালিকের কথা, যিনি নিঃস্ব অবস্থায় তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। ‘একদিন পকেটে সামান্য টাকায় শুধু পেঁয়াজ কিনতে পারি। ধাবায় গিয়ে বলি, শুধু পেঁয়াজ দিন। তিনি বললেন, “আজ আপনার ডাল খাওয়ার দিন।” বিনা পয়সায় এক বাটি ডাল দিলেন তিনি। এসব মানুষের দয়ায় বেঁচে ছিলাম। এক বাটি ডাল পেয়েই সেদিন কত খুশি হয়েছিলাম,’ বলেন রোনিত।

আরও পড়ুন

অভিনেতাকে সবশেষ দেখা গেছে বিশাল ফুরিয়ার ‘মা’ সিনেমায়। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন কাজল।