চলে গেলেন অভিনেত্রী কবিতা চৌধুরী

ভারতীয় অভিনেত্রী কবিতা চৌধুরীফেসবুক থেকে

চলে গেছেন ভারতীয় অভিনেত্রী কবিতা চৌধুরী। বৃহস্পতিবার হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে গুজরাটের এক হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন।
দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামার শিক্ষার্থী ছিলেন কবিতা। অনুপম খের, সতীশ কৌশিক, অঙ্গদ দেশাইরা তাঁর সহপাঠী। ১৯৮৯ সালে ‘উড়ান’ সিরিয়ালের মাধ্যমে শুরু তাঁর ক্যারিয়ার। সেই ধারাবাহিকে আইপিএসের কল্যাণী সিংহের চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। তাঁর দৃঢ় ও সাবলীল অভিনয় দর্শকদের মন জয় করেছিল। প্রথম ধারাবাহিকেই সাড়া ফেলেছিলেন কবিতা। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে তৈরি সিরিয়ালের জন্য মাইলফলক হিসেবে ধরা হয় ‘উড়ান’কে। করোনা লকডাউনের সময় দূরদর্শনের পর্দায় ফের সম্প্রচারিত হয়েছিল ‘উড়ান’। এই ধারাবাহিকের পরিচালক এবং কাহিনিকারও ছিলেন কবিতা নিজেই। ধারাবাহিকটি আইপিএস কাঞ্চন চৌধুরী ভট্টাচার্যের জীবন থেকে অনুপ্রাণিত; কবিতা চৌধুরী বাস্তব জীবনে কাঞ্চন চৌধুরীর ছোট বোন।

তা ছাড়া জনপ্রিয় সব বিজ্ঞাপনে দেখা যেত তাঁকে। জনপ্রিয় একটি ডিটারজেন্ট পাউডারের বিজ্ঞাপনে গৃহিণীর ভূমিকায় তাঁর সাবলীল উপস্থিতি আজও মনে রয়েছে সবার। তিনি বুঝিয়েছিলেন, সস্তা জিনিস আর ভালো জিনিস কেনা সমান নয়।
কবিতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুচিত্রা বর্মা জানান, ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন অভিনেত্রী। কেমোথেরাপিও চলছিল তাঁর। অভিনেত্রীর বন্ধু জানান, তিনি খুবই কষ্টে ছিলেন। সুচিত্রার কথায়, ‘তাঁকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছি। ওর সঙ্গে আর দেখা হওয়ার সুযোগ রইল না। হঠাৎ যে ওর শারীরিক অবস্থার এত অবনতি হবে, জানতাম না।’

প্রয়াত অভিনেত্রীর বন্ধু অঙ্গদ দেশাই বলেন, ‘আমি, কবিতা, অনুপম, সতীশ আমরা একসঙ্গে এনএসডিতে পড়তাম। ও যেমন ভালো মানুষ ছিল, তেমনই ভালো অভিনেত্রী। এটা শুধুই বন্ধু হারানো নয়, এটা ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি।’ অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ স্মৃতি ইরানি শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, ‘কিছু মানুষের জন্য “উড়ান” শুধুই একটি ধারাবাহিক ছিল। আমার কাছে এটি কঠিন পরিস্থিতি উতরে নিজেকে মুক্ত করার আহ্বান ছিল।’
সাত এবং আটের দশকে একাধিক উল্লেখযোগ্য কাজ করেন তিনি। ব্যক্তিজীবনেও তাঁর যাপন ছিল অনুপ্রেরণাদায়ক।