এখন থেকে ভেবেচিন্তে কাজ করবেন ‘লাপাতা লেডিস’-এর জয়া

প্রতিভা রাংটাফেসবুক থেকে

আমির খানের মতো খুঁতখুঁতে অভিনেতার মন জয় করেছেন প্রতিভা রাংটা। ‘লাপাতা লেডিস’ ছবির পর এখন সবার মুখে তাঁর জয়গান। কিরণ রাও পরিচালিত এই ছবি প্রতিভার ক্যারিয়ারের মোড় অনেকটাই ঘুরিয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হীরামান্ডি’ ওয়েব সিরিজে একঝাঁক দুঁদে অভিনেত্রীর মধ্যেও নজর কেড়েছেন তিনি। প্রতিভা জানিয়েছেন যে এখন থেকে ভেবেচিন্তে কাজ করবেন তিনি।
আমির খান প্রযোজিত ‘লাপাতা লেডিস’ কিছুদিন আগেই ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে। কিরণের এই ছবিতে ‘জয়া’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রতিভা। ‘লাপাতা লেডিস’ ছবির পর তাঁর কাছ থেকে দর্শকের প্রত্যাশা এখন বেশি। এ প্রসঙ্গে এই তরুণ অভিনেত্রী বলেন, ‘লাপাতা লেডিস-এর মতো দুর্দান্ত ছবিতে কাজ করার পর পরবর্তী প্রকল্প আমাকে অনেক ভেবেচিন্তে নিতে হবে। আমি এখন এমন কাজ করতে চাই, যা আমাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে। তাই আমি ভাবছিলাম যে এরপর কী করব। এর পরপরই হীরামান্ডি সিরিজের অডিশনের জন্য আমার কাছে ফোন এসেছিল। আমার মনে হয়েছিল যে ‘হীরামান্ডি’ সিরিজটি আমার করা উচিত।

প্রতিভা রাংটা
ফেসবুক থেকে

কারণ, সঞ্জয় লীলা বানসালি স্যার সিরিজটি নির্মাণ করছেন। আর এর কাস্ট দুর্দান্ত। আমার চরিত্রটি ছোট হলেও কোনো ব্যাপার ছিল না আমার কাছে। দুর্দান্ত এই সব অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে কাজ করলে আমি অভিজ্ঞতা অর্জন করব। আগে থেকেই আমি জানতাম যে আমার চরিত্রটি ছোট। কিন্তু আমি খুশি ছিলাম যে বানসালি স্যারের কোনো প্রকল্পের অংশ হতে পেরেছি। ছোটবেলা থেকেই আমি এই স্বপ্ন দেখেছিলাম।’

‘লাপাতা লেডিস’ ছবিতে প্রতিভা রান্তা
ছবি: সংগৃহীত

তবে প্রতিভার চোখে আরও অনেক স্বপ্ন। তাঁর ভাষ্য, ‘আমার স্বপ্ন এখনো পূরণ হতে বাকি। আমার স্বপ্ন তখনই পূরণ হবে, যখন আমি সঞ্জয় লীলা বানসালির ছবির মূল নায়িকা হিসেবে কাজ করব।’

কিরণ রাও পরিচালিত ‘লাপাতা লেডিস’ দিয়েই বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন প্রতিভা। ছবিটি গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছিল। ২৬ এপ্রিল নেটফ্লিক্সে মুক্তির পর ভারতের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশেও ছবিটি আলোচিত হয়েছে
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

প্রতিভা টেলিভিশন শো ‘কুরবান হুয়া’ দিয়ে নিজের অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন। অভিনেত্রী জানান, ‘আমি সব সময় ছবিতে অভিনয় করার স্বপ্ন দেখেছি। কেবল অর্থের জন্য ছোট পর্দায় কাজ করেছি। কারণ, আমি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে চেয়েছিলাম। আমি যখন সিমলা থেকে মুম্বাইয়ে এসেছিলাম, আমার মা–বাবা আমাকে নিয়ে অনিশ্চিত ছিলেন। ওনারা উদ্বিগ্ন ছিলেন যে মুম্বাইয়ে আমি আমার ক্যারিয়ার গড়তে পারব কি না। নিজেকে প্রমাণ করা আর মা–বাবাকে আশ্বস্ত করার জন্য আর্থিকভাবে স্বাধীন হওয়া আমার প্রয়োজন ছিল।’