বিশ্বাসই হচ্ছিল না নিজের ভ্যানিটি ভ্যান!

‘গদার টু’ সিনেমা দিয়ে হিন্দি ছবির দুনিয়ায় নায়িকা হিসেবে পা রাখলেন সিমরাত কৌর। এখন এই ছবির সাফল্যের জোয়ারে ভাসছেন তিনি। সম্প্রতি প্রথম আলো মুম্বাই প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি।
সিমরাত কৌর। ইনস্টাগ্রাম

‘অনেক অডিশন দেওয়ার পর অবশেষে এই ছবি আমার কাছে আসে। প্রথমে জানতাম না “গদার টু”র জন্য অডিশন দিয়েছি। অনেক পরে তা জানতে পেরেছি। অডিশনের অনেক দিন পর আমাকে নির্বাচন করা হয়েছিল। জানতে পেরেছিলাম, আরও অনেক মেয়ের অডিশন নেওয়া হচ্ছে। তাই আমার মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। পরিচালক অনিল শর্মাকে একদিন সরাসরি জিজ্ঞেস করি, আমাকে কেন নেওয়া হচ্ছে না। আমার মধ্যে কী দুর্বলতা আছে?  তিনি তখন আমাকে মিষ্টি খাইয়ে বলেন, আমি নির্বাচিত হয়েছি। অনিল স্যার আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছিলেন বলে জানান। এ কথা শোনার তিন দিন পরও আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না।’

আরও পড়ুন

সাক্ষাৎকারের শুরুতে পাঞ্জাবি কন্যা সিমরাত কৌর ‘গদার টু’র সঙ্গে তাঁর যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে কথাগুলো বললেন।

প্রথম দিনের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে সিমরাত বলেন, ‘ভ্যানিটি ভ্যানে বসে খুব খুশি হয়েছিলাম। বিশ্বাসই হচ্ছিল না নিজের ভ্যানিটি ভ্যান! লক্ষ্ণৌয়ে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শুটিং হয়েছিল। প্রথম দিন শুধু ক্লোজ আপ ছিল। পরের দিন আমার এক আবেগময় ও খুব গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য ছিল। তখন খুব নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। সারা সেটে সবার নজর আমার দিকেই ছিল। দৃশ্যটা করার পর সবাই হাততালি দিয়েছিলেন।’

সিমরাত কৌর। ইনস্টাগ্রাম

‘গদার: এক প্রেম কথা’ ছবিতে তারা-সাকিনার জুটি দারুণ হিট হয়েছিল। এই দুই জনপ্রিয় চরিত্রে ছিলেন সানি দেওল ও আমিশা প্যাটেল। ‘গদার টু’ ছবিতে আবার তাঁরা জুটি বেঁধে এসেছেন।

সানি দেওলের সঙ্গে কাজ করার অনুভূতির প্রসঙ্গে সিমরাত বলেন, ‘সানি স্যারের সঙ্গে প্রথম দেখা এই ছবির সেটে। সেদিন তাঁর দৃশ্য ছিল। প্রথম দিন ভয়ে ভয়ে সানি স্যারের সঙ্গে আলাপ করেছিলাম। তিনি আমার সঙ্গে খুব সুন্দরভাবে কথা বলেছিলেন। এর কিছুদিন পর তাঁর সঙ্গে দৃশ্য ছিল। আমি সেদিন নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। কিছুতেই দৃশ্যটা করতে পারছিলাম না। সানি স্যার আমাকে বলেন হৃদয় থেকে আবেগকে অনুভব করতে। এতেই আবেগের প্রতিফলন আমার মুখের অভিব্যক্তিতে ধরা পড়বে। এরপর দৃশ্যটা ঠিকঠাক করেছিলাম। এই কথা আমি সারা জীবন মনে রাখব।’

অভিনয় করবেন, কখনো কল্পনাই করেননি সিমরাত। খেলাধুলা ভালোবাসতেন। ঘটনাক্রমে তাঁর অভিনয়জগতে আসা। ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে নবাগতা অভিনেত্রী বলেন, ‘ইনস্টাগ্রামে ছবি দেখে আমাকে বিজ্ঞাপনচিত্রের জন্য নির্বাচন করা হয়েছিল। এরপর আমার নম্বর ইন্ডাস্ট্রির অনেকেরই কাছেই ছিল। প্রথম প্রস্তাব পাই দক্ষিণ থেকে। বাবা-মা চাইতেন অভিনয়কে পেশা বানাই। মা–বাবাকে বলেছি, আপনারা এখন আরাম করুন, আমি কাজ করব।’

একটি তেলেগু ছবির কিছু অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সিমরাত। এ প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি সবার আগে এক মানুষ, তাই ভুল হতেই পারে। আর ভুল থেকেই শিখি আমরা।’