৯ বছরে তিন হাজার অডিশন, ক্রমাগত প্রত্যাখ্যান, তবু হাল ছাড়েননি

সাচি বিন্দ্রাইনস্টাগ্রাম থেকে

টানা ৯ বছরের এক সংগ্রাম। কখনো হোঁচট খেয়েছেন, কখনো উঠে দাঁড়িয়েছেন। অবশেষে ‘মন্নু ক্যায়া কারেগা’র মাধ্যমে স্বপ্নের সিঁড়িতে প্রথম পা রাখলেন তরুণ অভিনেত্রী সাচি বিন্দ্রা। রোমান্টিক-কমেডি ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ১২ সেপ্টেম্বর। সঞ্জয় ত্রিপাঠি পরিচালিত এ ছবিতে সাচির স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয় জানিয়ে দিল, নিজেকে প্রমাণ করার জন্য তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত।
ছবিটি মুক্তির আগে ৮ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে আলাপকালে সাচি বলেন, ‘প্রায় ৯ বছর ধরে ক্রমাগত অডিশন দিয়ে গেছি। ৯ বছরে প্রায় তিন হাজার অডিশন দিয়েছি। কিন্তু কোনো সুযোগ পাইনি। কপালে জুটেছে কেবল প্রত্যাখ্যান। এমন অনেক প্রজেক্ট আছে, যাতে সুযোগ পেয়েও পরে আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পরে শুনেছি, কোনো নেপো-কিডের কারণে আমি বাদ পড়েছি। অনেক সময় ভেঙে পড়েছি, তবু নিজেকে আবার গুছিয়ে নিয়েছি।’

সাচি বিন্দ্রা
ইনস্টাগ্রাম থেকে

এত প্রত্যাখ্যানের পরও সাচির বিশ্বাস, প্রতিভাই শেষ কথা। তাঁর ভাষায়, ‘প্রতিভা থাকলেই মানুষ গ্রহণ করবে। বারবার প্রত্যাখ্যান আমাকে আঘাত করেছে। তবে একবার আমি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলাম। দীর্ঘদিন মানসিক অবসাদে ভুগেছিলাম। একটা ছবি শুরু করার মুখে কোভিড এসে যায়। ছবিটা পুরোপুরি থেমে যায়। তখন আমার জন্য সময়টা ছিল ভয়াবহ। প্রায় তিন মাস অন্ধকারে ডুবে ছিলাম।’ সে সময় পরিবার আর কাছের বন্ধুরাই তাঁকে ভরসা জুগিয়েছিলেন। সাচি বলেন, ‘অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসতে পরিবার আর বন্ধুরা ছিল আমার পাশে। ওরা সবাই আমাকে মানসিক শক্তি দিয়েছিল।’

সাচি বিন্দ্রা
ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘মন্নু ক্যায়া কারেগা’র আগে ওটিটিতে অভিষেক হয়েছিল সাচির। জিওহটস্টারের মিউজিক্যাল ড্রামা সিরিজ হ্যায় জুনুন-এ তাঁকে দেখা গিয়েছিল। তবে অভিনেত্রী হিসেবে প্রকৃত স্বীকৃতি ও দর্শকের ভালোবাসা তাঁকে মন্নু ক্যায়া কারেগাই দিয়েছে। এই ছবিতে সুযোগ পাওয়ার গল্প শোনাতে গিয়ে নবাগত নায়িকা বলেন, ‘আমি তখন দেশের বাইরে ছিলাম। ছবির অডিশনের জন্য আমাকে ফোন করা হয়। আমি ভিডিও করে অডিশনের জন্য পাঠিয়েছিলাম। দেশে ফিরে প্রযোজকের অফিসে গিয়ে একাধিকবার অডিশন দিই। এরপরই জিয়া চরিত্রের জন্য আমাকে মনোনীত করা হয়।’

সাচি বিন্দ্রা
ইনস্টাগ্রাম থেকে

ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন লালন করেছেন সাচি। তাঁর কথায়, ‘আমার মনে হয়, মা-ও চাইতেন আমি অভিনেত্রী হই। তবে মুখে কখনো বলেননি। কিন্তু আমি টের পেয়েছিলাম। ছোটবেলা থেকেই তিনি আমাকে কত্থক, ভরতনাট্যম শিখিয়েছেন। কোনো ছবি থেকে বাদ পড়লে মনে মনে বলতাম, হার মানা চলবে না, মায়ের জন্য আমাকে এগোতেই হবে। আসলে আমার নিজেরও তো একই স্বপ্ন ছিল। অভিনেত্রী হওয়া ছাড়া জীবনে অন্য কিছু ভেবে দেখিনি। দ্বিতীয় কোনো পরিকল্পনাও ছিল না।’
আড্ডার শেষে সাচি জানালেন, আরেকটি বড় প্রকল্প নিয়ে কথা চলছে। তাঁর স্বপ্ন, ধাপে ধাপে সিঁড়ি বেয়ে তরতরিয়ে এগিয়ে যাওয়া।

সাচি বিন্দ্রা
ইনস্টাগ্রাম থেকে