ইলিয়েনার অন্য রকম জীবন
তেলেগু ছবি দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু। দক্ষিণি চলচ্চিত্রে নামডাক হওয়ার পর ‘বরফি’ দিয়ে হিন্দি ছবিতে অভিষেক। ছবিতে ‘শ্রুতি ঘোষ সেনগুপ্ত’ নামের বাঙালি চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক-সমালোচকের দৃষ্টি কাড়েন। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’ বা ‘ম্যায় তেরা হিরো’র মতো কমেডি ছবি থেকে শুরু করে ‘রুস্তম’ ও ‘দো অউর দো প্যায়ার’-এর মতো সিরিয়াস ছবিতে স্বতঃস্ফূর্ত অভিনয়ে দক্ষতার ছাপ রেখেছেন ইলিয়েনা। খুব অল্প সময়েই বলিউডে নিজের জায়গা করে নেন ইলিয়েনা।
তবে এখন পেশাগত জীবনের চেয়ে ব্যক্তিজীবন–সম্পর্কিত খবরের কারণেই আলোচনায় আসেন বেশি। বলিউডের চাকচিক্যের বাইরে এক ভিন্ন জীবন বেছে নিয়েছেন তিনি। সেই জীবনের সঙ্গী তাঁর স্বামী মাইকেল ডোলান ও দুই সন্তান। তাঁদের নিয়ে ব্যস্ত ইলিয়েনা। সম্প্রতি এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জীবনের নানা অধ্যায় কথা বলেছেন তিনি।
ইলিয়েনা বলেন, ‘ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো পরিকল্পনাই আমি করিনি। কখনো ভাবিনি যে অভিনেত্রী হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করব। তাই শুরুতে অভিনয় আমার কাছে চাকরির মতোই ছিল। তবে অভিনয় আমার ভীষণ মজার লেগেছিল। কারণ, আমি কখনোই প্রথাগত কোনো প্রশিক্ষণ নিইনি।’
‘বরফি’ শুধু দর্শকের মন জয় করেনি, বক্স অফিসেও সফল হয়েছিল। রণবীর কাপুর ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পাশাপাশি ইলিয়েনার অভিনয়ও সমানভাবে আলোচনায় আসে।
অভিষেক ছবিকে ঘিরে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে ইলিয়েনা বলেন, ‘আমি তখন দক্ষিণে জমিয়ে কাজ করছি। হঠাৎ একদিন বরফির প্রস্তাব এল। ভাবিনি এ রকম গল্প দিয়ে আমার বলিউড–যাত্রা শুরু হবে। ভেবেছিলাম, ভরপুর মসলাদার ছবিই দিয়ে শুরু হবে আমার (বলিউড–যাত্রা)। শুরুতে দ্বিধায় ভুগলেও অনুরাগ বসুর সঙ্গে দেখা হওয়ার পর সব সংশয় কেটে যায়। তিনি আমাকে খুব সহজ করে দিয়েছিলেন। চরিত্র নিয়ে আমাদের দীর্ঘ কথোপকথন হয়েছিল। তিনি তা হ্যান্ডিক্যামে বন্দী করেছিলেন। শেষে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, “তুমি আমার শ্রুতি”, অনুরাগের সেই আত্মবিশ্বাস আমাকে আরও দৃঢ় করেছিল।’
ব্যক্তিজীবনে ২০২৩ সালে মাইকেল ডোলানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইলিয়েনা। ওই বছরই জন্ম নেয় তাঁদের প্রথম ছেলে। চলতি বছর দ্বিতীয় সন্তানেরও মা হয়েছেন তিনি। তবে সন্তানদের বলিউডের কৌতূহলী দৃষ্টি থেকে আড়ালে রাখতে চান তিনি। ইলিয়েনার ভাষ্য, ‘আমার সন্তানদের সঙ্গে ছবি তোলা খুব কঠিন। কারণ, ওরা খুব ছোট। বুঝবে না, কী ঘটছে। আমি চাই না বাইরের অতিরিক্ত মনোযোগ ওদের মানসিক বিকাশে প্রভাব ফেলুক।’
তবে মুম্বাইয়ের পাপারাজ্জিদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সব সময়ই ইতিবাচক ছিল। তিনি বলেন, ‘প্যাপসদের যখনই বলেছি যে আমি স্বচ্ছন্দ নই, দয়া করে ছবি তুলবেন না। তাঁরা আমার ইচ্ছার সম্মান করেছেন। তাই বিশ্বাস করি, বাচ্চাদের ছবির ক্ষেত্রেও তাঁরা একইভাবে বুঝবেন।’