কোথায় হারিয়ে গেলেন ১৭ বছরে ‘মিস ইন্ডিয়া’ জয়ী সেই নায়িকা

মীনাক্ষী শেশাদ্রি। আইএমডিবি

১৭ বছর বয়সে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জিতে হিন্দি সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন, অচিরেই সেই সময়ের দুই শীর্ষ নায়িকা—শ্রীদেবী ও মাধুরী দীক্ষিতের সমান জনপ্রিয়তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন। পরে হারিয়ে গেছেন ব্যর্থতার কারণে। এই অভিনেত্রী আর কেউ নন, মীনাক্ষী শেশাদ্রি। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ছবি ‘হিরো’ তাঁকে রাতারাতি তারকা বানিয়ে দেয়।

‘দামিনী’ দিয়ে শীর্ষে
মিস ইন্ডিয়া জয়ের পর মীনাক্ষী শেশাদ্রি ১৯৮৩ সালে ‘পেইন্টার বাবু’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও তার পরপরই মুক্তি পায় ‘হিরো’, যা ব্লকবাস্টার হয় এবং মীনাক্ষীকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেয়।

মীনাক্ষী শেশাদ্রি। আইএমডিবি

১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দামিনী’ তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই ছবির সাফল্যের পর তিনি শ্রীদেবী ও মাধুরী দীক্ষিতের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন। কিন্তু ঠিক সেই সময়েই এক চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত—ক্যারিয়ারের চূড়ায় থেকেই চলচ্চিত্র ছাড়ার ঘোষণা।

মীনাক্ষীর আসল নাম কী
মীনাক্ষী শেশাদ্রির আসল নাম শশীকলা শেশাদ্রি। তিনি ১৯৬৩ সালের ১৬ নভেম্বর বিহারের (বর্তমানে ঝাড়খণ্ড) সিন্দ্রিতে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি শাস্ত্রীয় নাচ শিখেছেন। ভারতনাট্যম, কুচিপুড়ি, কথক ও ওডিসি—এই চারটি নৃত্যধারাতেই দক্ষতা ছিল তাঁর। ১৯৮১ সালে মিস ইন্ডিয়া জয়ের পর জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি পান তিনি। এ সময়ই তাঁর ওপর নজর পড়ে নির্মাতা সুভাষ ঘাইয়ের। পরে ঘাইয়ের ‘হিরো’-ই তাঁর ভাগ্য বদলে দেয়।

আরও পড়ুন

যাঁদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন
মীনাক্ষী শেশাদ্রি–জ্যাকি শ্রফ জুটি জনপ্রিয় ছিল। ‘হিরো’র সাফল্যের পর তিনি একের পর এক বড় তারকার সঙ্গে কাজ করেছেন—অমিতাভ বচ্চন, সানি দেওল, অনিল কাপুরের মতো নায়কদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন বহু সফল ছবিতে।

মীনাক্ষী শেশাদ্রি। আইএমডিবি

অভিনয়, নাচের কুশলতা আর পর্দায় উপস্থিতির জোরে তিনি লাখো দর্শকের মন জিতেছিলেন। তবে নিজের সেরা সময়েই বিয়ে করে সিনেমা ছাড়ার ঘোষণা দেন।

ইন্ডিয়াডটকম অবলম্বনে