জ্যাকুলিনকে ক্রমাগত হুমকি, পুলিশের কাছে সুকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজইনস্টাগ্রাম

বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ এখনো ২০০ কোটি রুপির প্রতারণা মামলার জালে জড়িয়ে আছেন। হরহামেশাই এই মামলার সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে কোনো না কোনো খবর চর্চায় উঠে আসে। এবার এই মামলার মূল হোতা সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী। জ্যাকুলিনের অভিযোগ, সুকেশ তাঁকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
দিল্লি পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরার কাছে প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন জ্যাকুলিন। তিনি পুলিশ কমিশনারকে এক ই–মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ করে জানিয়েছেন যে সুকেশ জেলে থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ক্রমাগত বিপর্যস্ত করছেন আর হুমকি দিচ্ছেন। ২০০ কোটি রুপি আর্থিক তছরুপের মামলায় সুকেশ মন্ডোলি জেলে বন্দী আছেন। এই আসামি অভিনেত্রী জ্যাকুলিনকে বারবার চিঠি লিখে বিরক্ত করছেন। আর তাই বিরক্ত হয়ে অভিনেত্রী সুকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। জ্যাকুলিন এই চিঠিতে বলেছেন যে সুকেশ জেলের ভেতরে বসে তাঁকে মানসিকভাবে প্রতারিত করছেন।

পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরাকে জ্যাকুলিন নিজের অফিশিয়াল ই–মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে মেইল করে তাঁর সুরক্ষার ব্যবস্থার জন্য দাবি তুলেছেন।

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
ইনস্টাগ্রাম

এই বলিউড অভিনেত্রী সুকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাশাপাশি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তাঁর সুরক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন করেছেন। জ্যাকুলিন এই ই–মেইলে বলেছেন যে তিনি একজন দায়িত্বশীল নাগরিক, কিন্তু এখন পর্যন্ত এই মামলার কারণে বিভ্রান্তিতে আছেন অভিনেত্রী। আর এর ফলস্বরূপ তাঁর ভবিষ্যতে মন্দ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা এই শ্রীলঙ্কান নারীর।

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
ইনস্টাগ্রাম থেকে

জ্যাকুলিন বুঝে উঠতে পারছেন না যে জেলের মধ্যে থেকেও সুকেশ কীভাবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাঁর দাবি, পুলিশের উচিত এই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া। এই অভিনেত্রী পুলিশ কমিশনারকে জানিয়েছেন যে তাঁর সুরক্ষা বিপন্ন, আর তাই যত শিগগির সম্ভব, পুলিশ এর তদন্ত যেন শুরু করে। এর পাশাপাশি আইপিসি ধারা অনুযায়ী সুকেশের বিরুদ্ধে এফআইআর করা উচিত বলে দাবি তুলেছেন জ্যাকুলিন। অভিনেত্রীর বক্তব্য, সুকেশের এই কার্যকলাপ শুধু তাঁকেই বিরক্ত করছে, তা নয়, দেশের আইনি ব্যবস্থার ওপরও এই প্রতারক একপ্রকার হামলা করছেন।

জ্যাকুলিন ও সুকেশ
ছবি: সংগৃহীত

সুকেশ চন্দ্রশেখরের ২০০ কোটি রুপির আর্থিক প্রতারণা মামলার সঙ্গে জ্যাকুলিনের নাম জড়িয়ে পড়েছে। এই মামলার কারণে একাধিকবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। ভাইরাল হওয়া এক ছবিতে সুকেশের সঙ্গে জ্যাকুলিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা ফাঁস হয়েছে। সুকেশের দাবি যে এই অভিনেত্রীকে তিনি একাধিকবার বহুমূল্য উপহার দিয়েছেন।