বিয়ের পর কতটা বাঙালি হয়েছেন রাজকুমার

বলিউড তারকা রাজকুমার রাও ও পত্রলেখা
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘদিনের প্রেমিকা পত্রলেখাকে গত বছরের ১৫ নভেম্বর ধুমধাম করে বিয়ে করেন রাজকুমার রাও। আজ বিয়ের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। বাঙালি পরিবারের জামাই এখন রাজকুমার। তবে বিয়ের আগেই ১১ বছর ধরে তাঁরা একসঙ্গে আছেন। তাই বাংলা ভাষাটা একটু–আধটু শিখে ফেলেছেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই বলিউড নায়ক। মুম্বাইয়ের এক পাঁচতারা হোটেলে রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে প্রথম আলোর প্রতিনিধির আলাপ শুরু হলো বাংলাতেই। কেমন আছেন জানতে চাইলে একগাল হেসে ঝরঝরে বাংলায় বললেন, ‘বেশ ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?’ ঘাড় নাড়িয়ে ‘ভালো আছি’ সূচক সম্মতি জানিয়ে পাল্টা প্রশ্ন—বিয়ের পর কতটা বাঙালি হয়ে উঠেছেন? জবাবে এই বলিউড তারকা বলেন, ‘সেভাবে বাঙালি হয়ে উঠিনি। মনেপ্রাণে উত্তর ভারতীয় আছি। তবে বাঙালি খাবার দারুণ লাগে। বিশেষ করে বেগুনভাজা খুব খাই। বাঙালি রসনা আর সংস্কৃতির সঙ্গে ভালোই বন্ধুত্ব হয়েছে।’

বিয়ের পর রাজকুমার রাও স্ত্রী পত্রলেখা পালকে ট্যাগ করে লিখেছিলেন, ‘তুমি কাল ছিলে, আজ আছো আর জীবনভর থাকবে।’
ছবি : সংগৃহীত

বিয়ের এক বছর পূর্তি প্রসঙ্গে রাজকুমার বলেন, ‘১১ বছর ধরে একসঙ্গে আছি। তবে বিয়ে আমাদের জীবনকে সম্পূর্ণ করেছে। বিয়ের পরপরই আমরা যে যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। দুজনই অভিনয়জগতের। আমরা জানি যে এ রকমই হওয়ার কথা। তাই এ নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। তবে শুটিংয়ের পর আমরা একে অপরের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটাই।’

আরও পড়ুন

কে বেশি রোমান্টিক—আপনি, না পত্রলেখা? আলতো হেসে এই নায়ক বলেন, ‘জানেন তো আমি শাহরুখ খানের অনেক বড় ভক্ত। তাঁর ছবি দেখে বড় হয়েছি। আমার মতো সে-ও (পত্রলেখা) শাহরুখের ছবি দেখেছে। তবে আমি তাঁকে (শাহরুখ) গুলে খেয়েছি। তাই নিশ্চিতভাবে আমিই বেশি রোমান্টিক।’

রাজকুমার রাও ও পত্রলেখা
ছবি : সংগৃহীত

রাজকুমার রাওকে সর্বশেষ নেটফ্লিক্সের ‘মনিকা, ও মাই ডার্লিং’–এ দেখা গেছে। বাসন বালা পরিচালিত এই ছবিতে তাঁর সঙ্গে আছেন হুমা কুরেশি, রাধিকা আপ্তে। ক্রাইম-কমেডিধর্মী ছবিতে রাজকুমারের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। ছবিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চিত্রনাট্য শুনেই ছবিটি করব বলে জানাই। এই ছবির কমেডি একদম ভিন্ন স্বাদের। বাসন বালার মতো পরিচালক “মনিকা, ও মাই ডার্লিং” পরিচালনা করেছেন। শ্রীরাম রাঘবনও এ ছবির সঙ্গে যুক্ত। তার ওপর নেটফ্লিক্সের ছবি।’

রাজকুমারকে বেশির ভাগ সময়ই ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। ক্যারিয়ারের জন্য এটা কতটা ঝুঁকির, জবাবে তিনি বলেন, ‘গুরগাঁওতে বসে যখন সিদ্ধান্ত নিই যে অভিনেতা হব—এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি ছিল। এই শহরে কত মানুষ আসে নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করতে। একদিন আমিও তাদের মতো একজন ছিলাম। তবে আগে কোনো কোনো ছবি আবেগতাড়িত হয়ে করতাম, এখন আর করি না, নিজের পছন্দ অনুযায়ী করি। আগে অনেক ভুল করেছি। বন্ধুত্বের খাতিরে ছবি করেছি। যদিও সেই সব ছবির ওপর আমারও ভরসা ছিল না। কিন্তু বন্ধুকে মুখের ওপর “না” বলতে পারিনি।’

‘মনিকা, ও মাই ডার্লিং’–এ অভিনয় করেছেন রাধিকা আপ্তে, রাজকুমার রাও ও পত্রলেখা
ছবি : সংগৃহীত

এখন কি ছবি নির্বাচনে অর্থ গুরুত্ব পায়? রাজকুমার বলেন, ‘কোনো দিনই অর্থের কারণে ছবি করি না। ভালো কাজ করলে টাকা ঠিক পেছন পেছন আসবে। ছবিটি কে নির্মাণ করছে, ছবির বাজেট, ছবিটি নির্মাণের পেছনে উদ্দেশ্য কী—এমন আরও অনেক বিষয়ের ওপর আমার পারিশ্রমিক নির্ভর করে।’
রাজকুমারকে ভবিষ্যতে ভিড়, গানস অ্যান্ড গুলাবস, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি ছবি ও সিরিজে দেখা যাবে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন