শাহরুখের দেওয়া ল্যাপটপ কেন ব্যবহার করেননি আমির

শাহরুখ ও আমির খান। কোলাজ

বলিউডের তিন খান—আমির, শাহরুখ ও সালমান তাঁদের অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন প্রায় একই সময়ে। সেই কারণে প্রায়ই তুলনা চলে এই তিনজনকে ঘিরে। তবে এই ত্রয়ীর মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ আমির খান মনে করেন, এখন আর তাঁদের মধ্যে কোনো প্রতিযোগিতা নেই; বরং অতীতে যা ছিল, সেটাও ছিল একেবারেই স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা—অন্তত তাঁর দিক থেকে তো বটেই।

রাজ শামানির পডকাস্টে আমির বলেন, ‘একসময় প্রতিযোগিতা ছিল। নব্বইয়ের দশকে কে কতটা সফল, তা নিয়ে ভেতরে–ভেতরে একটা টানাপোড়েন ছিল। প্রত্যেক মানুষই চায়, সে-ই যেন সবচেয়ে সফল আর সবার কাছে প্রশংসিত হয়। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমি কোনো দিন নেতিবাচকতায় জড়াইনি। আমি পারিই না। আমার দিক থেকে প্রতিযোগিতা সব সময়ই ইতিবাচক ছিল।’

আরও পড়ুন

আমির আরও বলেন, ‘কারও কাজ ভালো লাগলে আমারও ইচ্ছা করে আমিও ভালো কিছু করি। অন্যের কাজ থেকে প্রেরণা পাই। কিন্তু কারও সাফল্য দেখে ঈর্ষা নয়; বরং আনন্দই পাই। আমরা তো ৩০-৩৫ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে আছি। শুধু আমি, শাহরুখ বা সালমান নই—এই সময়ের আরও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীই একই সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের মধ্যে আন্তরিকতা, শ্রদ্ধাবোধ আছে। আমি আসলে কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা করিনি, নিজের সঙ্গেই করেছি।’

শাহরুখ অভিনীত আদিত্য চোপড়ার ১৯৯৫ সালের রোমান্টিক ব্লকবাস্টার ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র উদাহরণ টেনে আমির বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি, আমাকে এ রকম বড় রোমান্টিক ছবি করতে হবে। কারণ, আমি এই ছবি খুব উপভোগ করি। শাহরুখ এতে অসাধারণ কাজ করেছেন। তাই আমি ওর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করি না।’

আমির খান
এএফপি

আমির বলেন, ছবিটি মুক্তির পরপরই শাহরুখ ও তিনি একসঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক সফরে গিয়েছিলেন। সেই সময় শাহরুখ নতুন একটি ল্যাপটপ কেনার পরিকল্পনা করছিলেন। তখন তিনি আমিরকেও একটি ল্যাপটপ কিনে দেন। তবে প্রযুক্তির ব্যাপারে একটু দুর্বল হওয়ায় আমির সেটি কখনো ব্যবহারই করেননি। ‘চার বছর পর আমার ম্যানেজার এসে বলল, “স্যার, আমি কি আপনার ল্যাপটপটা কাজে ব্যবহার করতে পারি?” আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। ল্যাপটপ দেখিয়ে বলল, “এই তো আপনার ল্যাপটপ।” তখন দেখি, একবারও চালু করিনি! ওকে বললাম, “তুমি ব্যবহার করো।” বিশ্বাস করবে না, চার বছর ধরে পড়ে ছিল, তাই চালুই হচ্ছিল না (হাসি),’ বলেছেন আমির।

তবে একটা বিষয় আমিরকে কষ্ট দেয়। তা হলো শুধু তিন খানের নাম নিয়েই আলোচনা হয়, অথচ তাঁদের সময়ের অনেক সফল অভিনেতার নাম সেভাবে উঠে আসে না। ‘আমার খারাপ লাগে। কারণ, অজয় দেবগন, অক্ষয় কুমার, হৃতিক রোশন—এঁরা সবাই আমাদের প্রজন্মের। ৩০-৩৫ বছর ধরে কাজ করছেন, সফলও। তাঁদের কথা তুলে ধরা উচিত,’ বলেন আমির।