কখনো নিজেকে খুব শক্তিশালী মনে হয়, কখনো হয় না...

শ্রিয়া পিলগাঁওকর। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

ওটিটির চেনা মুখ শ্রিয়া পিলগাঁওকর। পর্দায় বেশির ভাগ সময় তাঁকে দৃঢ়চেতা, দাপুটে চরিত্রে দেখা যায়। কিছুদিন আগে জিফাইভের ‘ছল কপট’ ওয়েব সিরিজে তাঁকে দেখা গেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, পর্দার মতো বাস্তব জীবনেও তিনি কতটা শক্তিশালী।

শ্রিয়ার মা–বাবা দুজনই বিনোদন অঙ্গনের পরিচিত মুখ—অভিনেতা শচীন পিলগাঁওকর ও সুপ্রিয়া পিলগাঁওকর। তবে মা–বাবার পরিচয়ের বাইরে নিজেকে আলাদা করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন শ্রিয়া।

শ্রিয়া পিলগাঁওকর। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

‘ছল কপট’ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা মার্ডার মিস্ট্রির গল্প। ছোটবেলা থেকেই আমি এই ঘরানার খুব বড় ভক্ত। এখানে প্রথমবার পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছি। উর্দি পরার সঙ্গে সঙ্গেই এক অন্য রকম দায়িত্ববোধ কাজ করছিল। দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।’

থ্রিলার ঘরানার কাজেই শ্রিয়াকে বেশি দেখা যায়। কেন এই ধারার কাজই তিনি বেশি করেন? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, ‘আসলে আমি রোমান্টিক ছবিও খুব ভালোবাসি। কিন্তু আমাকে বেশি প্রস্তাব দেওয়া হয় থ্রিলার ঘরানার কাজের। আমি কমেডি, রোমান্টিক-কমেডি বা প্রেমের গল্পের কাজও করতে চাই। তবে সেই সুযোগ এখনো তেমন পাইনি। আমার মনে হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে একটা সময় নির্দিষ্ট কিছু ঘরানা নিয়ে বাড়তি উন্মাদনা থাকে। এখন যেমন থ্রিলার বা রহস্য ঘরানার ছবি-সিরিজ বেশি হচ্ছে। তবে ভালো লাগছে যে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাচ্ছি। কখনো আইনজীবী, কখনো সাংবাদিক, কখনো যৌনকর্মী বা পুলিশ অফিসারের ভূমিকায়।’

শ্রিয়া পিলগাঁওকর। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

ব্যক্তিগত জীবনে নিজেকে কতটা ‘দৃঢ়’ ভাবেন? উত্তরে শ্রিয়া বলেন, ‘কখনো নিজেকে খুব শক্তিশালী মনে হয়, কখনো হয় না। তবে আমার বিশ্বাস, সত্যিকারের দৃঢ়চেতা মানুষ সে–ই, যে নিজের দুর্বলতা ও শক্তি দুটোই মেনে নিতে পারে। আমি আমার ভেতর একধরনের আবেগীয় শক্তি অনুভব করি। আর আমি নিজেকে মজবুত ও আত্মবিশ্বাসী মনে করি।’

আরও পড়ুন

শ্রিয়ার ক্যারিয়ারের শুরুটা থিয়েটার দিয়ে। পরে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘পেইন্টিংস ইন দ্য ডার্ক’ পরিচালনা করেন। বড় পর্দায় প্রথম কাজ ‘ফ্যান’। সিনেমাটিতে বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের সঙ্গে অভিনয় করেন।