ঘর ভাঙল বলিউডের জনপ্রিয় গায়কের

শেষ হলো বলিউডের জনপ্রিয় প্লেব্যাক সিঙ্গার ইয়ো ইয়ো হানি সিং ও শালিনী তলোয়ারের দাম্পত্য জীবন।

হানি সিং ও শালিনী তলোয়ার

১১ বছরের বিবাহিত জীবন শেষ করে বিচ্ছেদর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হানি ও শালিনী। তাঁদের দাম্পত্য কলহ গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। অবশেষে ৮ সেপ্টেম্বর দিল্লির একটি পারিবারিক আদালতে শালিনী তলোয়ার ও হানি সিং দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। শুনানির সময় বিচারক বিনোদ কুমারের উপস্থিতিতে ভরণপোষণ হিসেবে সাবেক স্ত্রীর হাতে এক কোটি রুপির চেক তুলে দেন হানি সিং।

হানি সিং

অনেক দিন ধরেই স্ত্রী শালিনীর সঙ্গে আইনি লড়াই চলছিল হানি সিংয়ের। স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়াসহ একাধিক অভিযোগ এনে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন শালিনী। মামলায় তিনি ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন। শালিনী জানান, তাঁদের মধুচন্দ্রিমার সময় থেকেই হানি তাঁর গায়ে হাত তোলা শুরু করেন। সঙ্গে হানির মদের নেশা, একাধিক নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেন শালিনী।

হানি সিং

শালিনী ও হানি সিংয়ের সম্পর্ক ২০ বছরের। দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০১১ সালে তাঁরা শিখ রীতি অনুযায়ী দিল্লির ফার্ম হাউসে বিয়ে করেন। এরপরই ‘ককটেল’ সিনেমায় ‘আংরেজি বিট’ শিরোনামের এক গান গেয়ে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন হানি। এরপর ‘ব্লু আইজ’, ‘হাই হিল’ ও ‘লুঙ্গি ড্যান্স’-এর মতো একাধিক হিট গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের।

২০১৪ সালে প্রথমবার রিয়্যালিটি শো ‘রকস্টার’-এর একটি পর্বে দর্শকদের সঙ্গে স্ত্রী শালিনী তলোয়ারের পরিচয় করিয়ে দেন হানি। এর আগে হানি সিং যে বিবাহিত, সেটাই অনেকে জানতেন না।

শালিনীর করা মামলার পর গত বছর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি দেন হানি সিং—‘আমার বিরুদ্ধে এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে ২০ বছরের সঙ্গিনী মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। এত দিন নিজের গান নিয়ে সমালোচনা, স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব, মিডিয়ার নেতিবাচক কভারেজ নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলিনি। তবে এবারে মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ, এবার সরাসরি আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তারা কঠিন সময় আমার পাশে ছিল।’

মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে ২০২৩ সালের ২০ মার্চ। তখনই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।