বিমানবন্দরে কঙ্গনার গালে থাপ্পড়

কঙ্গনা রনৌতছবি : সংগৃহীত

অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া কঙ্গনা রনৌতকে আজ বৃহস্পতিবার ভারতের চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে থাপ্পড় মেরেছেন এক নারী নিরাপত্তাকর্মী। ওই নারী সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সের (সিআইএসএফ) কর্মী বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পয়েন্ট পার হওয়ার সময় নিয়ম অনুযায়ী ট্রেতে মুঠোফোন রাখতে অস্বীকৃতি জানান লোকসভার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য কঙ্গনা রনৌত; বরং তিনি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে চলে যেতে চেষ্টা করেন। এই পরিস্থিতিতে এক নারী নিরাপত্তাকর্মী কঙ্গনাকে থাপ্পড় মারেন। কঙ্গনা আজ বেলা তিনটায় ভিস্তারা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দিল্লি ছেড়েছেন বলে জানা জানিয়েছে ওই সূত্র।

এদিকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়, এ ঘটনায় কঙ্গনা রনৌত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করবেন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে আরও বলা হয়, একটি ভিডিওতে সিআইএসএফ কনস্টেবল কুলউইন্দার কাউরকে বলতে শোনা যায়, কৃষক বিক্ষোভে তাঁর মা অংশ নিয়েছিলেন। সে সময় কঙ্গনা বলেছিলেন, বিক্ষোভে বসার জন্য ওই নারীরা ১০০ রুপি করে নিয়েছেন।

কঙ্গনাকে বিভিন্ন সময়ে মোদির সমর্থনে শক্ত অবস্থান নিতে দেখা গেছে। ২০১৯-২০ সালে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন ও কৃষক বিক্ষোভের মতো ইস্যুতে তিনি মোদি সরকারকে জোরালো সমর্থন দিয়েছেন।

আজকের এ ঘটনার পর এক ভিডিও বার্তায় কঙ্গনা রনৌত বলেন, ‘আমি ঠিক আছি, নিরাপদে আছি। আমি নিরাপত্তা তল্লাশি এলাকা থেকে বের হতেই পাশের দ্বিতীয় কেবিন থেকে বেরিয়ে আসেন সিআইএসএফর এক নিরাপত্তাকর্মী। এসেই আমার মুখে আঘাত করেন এবং বকাঝকা করতে শুরু করেন। আমি যখন জানতে চাইলাম কেন এমন করছেন, তিনি বলেন, তিনি কৃষক আন্দোলন সমর্থন করেন। আমি নিরাপদ আছি। কিন্তু পাঞ্জাবে যেভাবে সন্ত্রাস ও চরমপন্থা বাড়ছে, তাতে আমি উদ্বিগ্ন।’

সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বলিউড তারকা কঙ্গনা রনৌত। প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়েই করেছেন বাজিমাত। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিংহকে ৭৪ হাজার ৭৫৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তিনি।

জয় লাভের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে কঙ্গনা লেখেন, ‘আপনারা আমার প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন ও আস্থা রেখেছেন, তার জন্য মান্ডির সব মানুষের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। এই বিজয় আপনাদের সবার। আপনারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির প্রতি যে আস্থা রাখেন, এটা তারই জয়। এটা সনাতনের (ধর্ম) জয়। মান্ডির সম্মানে এই বিজয় (উৎসর্গ করছি)।’