হীনম্মন্যতায় ভুগতেন কপিলা
বলিউডে ধীরে ধীরে নিজের ক্যারিয়ার গুছিয়ে নিচ্ছেন অভিনেত্রী কুশা কপিলা। এর আগে ইউটিউবার ও ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে নামডাক ছিল তাঁর। পরপর দুটি ছবি মুক্তি পেল কপিলার। ‘থ্যাংক ইউ ফর কামিং’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। মুম্বাইয়ে টি-সিরিজের অফিসে প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধির মুখোমুখি হয়েছিলেন এই নবাগত অভিনেত্রী।
‘মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আমার দুটি ছবি মুক্তি পেল। সত্যি বলতে, দারুণ লাগছে।’ সাক্ষাৎকারের শুরুতেই বলেন কপিলা। দিল্লি থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে তিনি এখন মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। মুম্বাই কেমন লাগছে, জানতে চাইলে একগাল হেসে বলেন, ‘সত্যি বলতে, দারুণ লাগছে! মুম্বাই শহরটা অদ্ভুত। সব সময় এনার্জেটিক। আর সবচেয়ে বড় কথা, শহরটা অত্যন্ত নিরাপদ। অনেক বেশি রাতে আমি হাঁটতে বের হয়েছি বা অটো করে ঘুরে বেড়িয়েছি। কিন্তু এতটুকু অসুবিধা হয়নি। আমার দিল্লির বন্ধুরা অবাক হয়, এত রাতে আমি এখানে একা চলাফেরা করছি!’
পেশাগত ও ব্যক্তিগত দিক থেকে সব সময় সাহসিকতা দেখিয়েছেন কপিলা। এই শক্তি তিনি তাঁর পরিবারের থেকে পেয়েছেন বলে জানান।
তাঁর কথায়, ‘আজ আমি আমার জীবনের সব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে যে সাহসিকতা দেখিয়েছি, তা আমার বেড়ে ওঠার কারণে। আমি আমার আশপাশে মা–কাকিমাদের মতো শক্তিশালী নারীদের পেয়েছি। আমার বন্ধুরা আমাকে শক্তিশালী করে তুলেছে। সিনেমার জগতে এসে শিল্পা ম্যামের (শেঠি) মতো শক্তিশালী নারীর সান্নিধ্য পেয়েছি। তাঁরা প্রত্যেকে আমাকে শক্তিশালী করেছেন।’
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে হরহামেশাই বিদ্রূপের মুখোমুখি হতে হয় কপিলাকে।
এ সম্পর্কে হতাশার সুরে কপিলা বলেন, ‘মেয়েরা কোথাও নিরাপদ নয়। দিল্লির পথ থেকে মেট্রো—সব জায়গায় মেয়েদের নানাভাবে হেনস্তা হতে হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নায়িকাদের ট্রল হতে হয়। একসময় ট্রলিংয়ের কারণে আমি হীনম্মন্যতায় ভুগতাম।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এখন এসব নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাই না। আমি বন্ধুদের সঙ্গে হাসিঠাট্টার মাধ্যমে এসব উড়িয়ে দিই। আমি মনপ্রাণ দিয়ে শুধু নিজের কাজটা করে যেতে চাই।’