আমার নয়, ইন্ডাস্ট্রির ভুল

পত্রলেখা। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

২০১৪ সালে ‘সিটি লাইটস’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে নাম লেখান পত্রলেখা। প্রথম ছবিতেই দারুণ প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়। গত শুক্রবার মুক্তি পাওয়া ‘ফুলে’ ছবিতে প্রভাবশালী নারী ‘সাবিত্রীবাই ফুলে’ চরিত্রে অভিনয় করে নতুন করে আলোচনায় তিনি। ভারতে লিঙ্গসমতা এবং নারীবাদী আন্দোলনের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন সাবিত্রীবাই ফুলে। তবে আজও লিঙ্গবৈষম্য আছে বলে মনে করেন পত্রলেখা।

এ ছবির মুক্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অভিনেত্রী বলেন, ‘একটা মেয়ে হিসেবে আমিও এই সমস্যার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। ছোটবেলা থেকেই আমি এই সবকিছু দেখেছি। অবশ্যই সেই অসমতা আজও আমাদের সমাজে আছে। আমার বিশ্বাস, একজন শক্তিশালী মা-ই পারেন পরিবর্তন আনতে। তিনিই পারেন তাঁর ছেলেকে শেখাতে যে নারী-পুরুষ সমান। নিজের বাড়ি থেকে এর শুরু হওয়া প্রয়োজন।

আমি যা আমার বাড়িতে দেখে এসেছি। আমার বাবা-মা শুরু থেকেই এ চিন্তাভাবনায় বিশ্বাসী ছিলেন যে আমাদের দুই বোনকে যা দেওয়া হবে, আমাদের ভাইকে তা-ই দেওয়া হবে। জামাকাপড়, পড়াশোনা থেকে খাবারদাবারের ক্ষেত্রেও বাবা-মা সমতা রেখেছেন। কিন্তু বাড়ির বাইরে আমি অসমতা দেখেছি। মেয়ে হওয়ার দরুন আমাকে অনেক ইভ টিজিং সহ্য করতে হয়েছে।’

পত্রলেখা। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

২০১৫-তে বলিউড অভিনেতা রাজকুমার রাওয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পত্রলেখা। আলাপচারিতায় জীবনসঙ্গীর কথাও উঠে এসেছে, ‘আমাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে শিখিয়েছে রাজ। ছয়-সাত বছর আগে তার থেকে প্রতিবাদ করতে শিখেছি। রাজ আমাকে বলেছে যে কোনো ছেলে আমাকে বাজে কিছু বললে বা আমি কারও আচরণে বিব্রতবোধ করলে তার পালটা জবাব দিতে। তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে।’

‘সিটি লাইটস’–এর পর পত্রলেখা নজর কেড়েছিলেন ২০২৪-এ ‘আইসি ৮১৪: দ্য কান্দাহার হাইজ্যাক’ সিরিজে। এবার তিনি ফুলে ছবিতে অভিনয় করে আলোচনায়, কিন্তু দীর্ঘ সময় পত্রলেখাকে সে রকম কোনো উল্লেখযোগ্য চরিত্রে দেখা যায়নি। কেন?

আরও পড়ুন

আলাপচারিতার শেষে জানতে চাওয়া অভিনেত্রী কাছে। ‘আমার নিজের কোনো ভুল হয়নি। ইন্ডাস্ট্রির থেকেই হয়েছে। আমি আমার কাজ করে গেছি, অত্যন্ত সততার সঙ্গে করেছি। আপনার আমার কাজ এবং আমার মুখ হয়তো পছন্দ হয়নি। অমুক চরিত্রটি আমাকে কেন দেওয়া হলো না, তার জন্য আমি নিজেকে দোষী মনে করি না।

পত্রলেখা। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

আমার ভাগ্যে হয়তো সেটা ছিল না। কোনো প্রকল্প থেকে বাদ পড়লে আমাদের এখানে কোনো কারণ বলা হয় না। সবাই মুখে ‘খুব ভালো’, ‘খুব ভালো’ বলে থাকেন। কিন্তু এরপর কিছু এগোয় না। আমি শুধু এটাই জানি যে আমি যে কাজটা পাব, তা মনপ্রাণ দিয়ে করব। আমি তাতে নিজের ১০০ শতাংশ দেব। বাকিটা আমার হাতে নেই,’ এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে গেলেন পত্রলেখা।