এক সেকেন্ডের মধ্যেই শংকর হয়ে গেলেন...
‘তেরে ইশক মে’-তে প্রেমের বহুমাত্রিক রূপ তুলে ধরেছেন আনন্দ এল রাই। ছবির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন দক্ষিণি তারকা ধানুশ ও বলিউড অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। ১৪ নভেম্বর মুম্বাইয়ের একটি মাল্টিপ্লেক্সে প্রকাশিত হয়েছে ছবিটির ট্রেলার। হাজির ছিলেন ধানুশ, কৃতি, আনন্দ এল রাই ও প্রযোজক ভূষণ কুমার। আনন্দ এল রাইয়ের আগের `রানঝানা’–তে প্রেমে উন্মত্ত এক তরুণের চরিত্রে দর্শকের মন জয় করেছিলেন ধানুশ। নতুন ছবি ‘তেরে ইশক মে’-তেও তিনি ফিরছেন তীব্র আবেগে ভরা এক চরিত্র ‘শংকরের’ মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে কৃতির ‘মুক্তি’ সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্র—কঠোর, জেদি, ক্ষতবিক্ষত; কিন্তু ভেতরটা লুকানো কোমলতায় ভরা। তাঁর চরিত্রের প্রথম ঝলকই দর্শকের নজর কেড়েছে—এক হাতে পানীয়ের গ্লাস, অন্য হাতে সিগারেট। কৃতির পর্দায় উপস্থিতিতেই স্পষ্ট—মুক্তি চরিত্রটি তিনি আলাদা যত্নে নির্মাণ করেছেন।
আবেগে ভাসলেন কৃতি
অনুষ্ঠানে সহ-অভিনেতা ধানুশের সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আবেগভরা কণ্ঠে কৃতি বলেন, ‘আপনার সঙ্গে কাজ করে সত্যিই দারুণ সময় কাটিয়েছি। আপনি ভীষণ সহযোগিতাপরায়ণ। সূক্ষ্ম অভিনয়ে আপনি অনন্য। শংকর চরিত্রের কারণে জীবন্ত হয়ে উঠেছে মুক্তি।’ শুটিংয়ের সময় ধানুশ কীভাবে একমুহূর্তে বাস্তব থেকে চরিত্রে ঢুকে পড়তেন, সে দৃশ্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে কৃতি বলেন, ‘শুটিং চলছিল, ক্যামেরা রোলিং পর্যন্ত ম্যাচের স্কোর দেখে নিলেন তিনি। আর এক সেকেন্ডের মধ্যেই শংকর হয়ে গেলেন। আমি কাউকে এভাবে কাজ করতে দেখিনি।’
মুক্তি চরিত্রটি নিয়ে কৃতি বলেন, ‘চরিত্রটি প্রথম শুনেই গায়ে কাঁটা দিয়েছিল। তার বহুস্তর, ভেতরের দহন, আবার সরলতার ছোঁয়া—সব মিলিয়ে মুক্তি আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়েছে। মুক্তির কিছু বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে নিজের মিল পেয়েছি। তবে তার অনেক সিদ্ধান্তই আমি নিতাম না।’
বহুমাত্রিক প্রেমের গল্পে অন্ধকারের ছায়া
একই মঞ্চে প্রেম নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেন ধানুশ। ‘প্রেম অতি মূল্যায়িত অনুভূতি’ বলতেই হেসে ওঠেন কৃতি। পাল্টা মন্তব্য করেন তিনি, ‘মনে হয় না শংকর আপনার সঙ্গে একমত হবে।’ জবাবে ধানুশ বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, আমি শংকরের মতো নই।’ অভিনেতার এ মন্তব্যের পর অনেকেই বলছেন, এ বক্তব্যেই যেন ফুটে উঠেছে ছবির চরিত্র দুটির সম্পর্কের দ্বৈততা।
ধানুশ বলেন, ‘শংকর ও মুক্তি—এই দুই চরিত্র আসলে আমরা একসঙ্গেই তৈরি করেছি। কৃতি ভীষণ মনোযোগী ও প্রতিভাবান। ছবির সৃজনশীল প্রক্রিয়াটা ছিল দুজনের মিলিত পরিশ্রমের ফল।’
পরিচালক আনন্দ এল রাইও দুই অভিনেতার প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, ছবির আবেগপ্রবণ দৃশ্যগুলোর গভীরতা এসেছে তাঁদের নির্ভুল অভিনয় ও বোঝাপড়া থেকে।
২৮ নভেম্বর মুক্তি পাবে তেরে ইশক মে। সিনেমাপ্রেমীরা দেখার অপেক্ষায়—শংকর ও মুক্তির প্রেম-সংঘাত বড় পর্দায় কতটা জমে ওঠে।