অথচ অভিনেতাই হতে চাননি রণবীর
বলিউডে এক দশক পার করলেন রণবীর সিং। ২০১০ সালের শেষে মুক্তি পেয়েছিল তাঁর প্রথম ছবি ব্যান্ড বাজা বারাত। এক দশক পর তিনি বলিউডের অন্যতম দাপুটে অভিনেতা। এতকাল পর প্রেক্ষাগৃহের ভেতর থেকে একটি ছবি তুলে তিনি জানালেন, এটিই তাঁর ফেরার জায়গা, জীবনের লক্ষ্য। বহু পথ পেরিয়ে সিনেমা হলে এসেই তিনি থামতে চান।
বিজ্ঞাপন নিয়ে পড়াশোনা করতে রণবীর গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। ফিরেছিলেন অভিনয়ের কোর্স করে। অথচ অভিনয় কিন্তু তিনি করতেই চাননি। খুব ছোটবেলায় চাইলেও ১৫ বছর বয়সে ঠিক করেছিলেন, অভিনেতা বাদে অন্য কিছু হবেন। কিন্তু কেন? উত্তরে রণবীর বলেন, ‘আমি একেবারে সাধারণ পরিবারের ছেলে। সেখান থেকে সিনেমা দেখে বলিউড তারকা হওয়ার স্বপ্ন দেখা যায়। কিন্তু তখন আমার মনে হতো, সেই স্বপ্ন সত্যি হওয়ার নয়! আমি তাই “অলীক” স্বপ্নের পেছনে না ছুটে, মাটিতে পা রেখে বাস্তবতার কাছাকাছি চলতে চেয়েছি। আমি কপিরাইটার হওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে যাই বিজ্ঞাপন নিয়ে।’
যে কোর্সগুলো নিয়ে রণবীর পড়তে চেয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দেখেন, সেগুলো খালি নেই। কেবল একটিই আসন খালি, সেটি অভিনয়ের। আর আবেদনকারী দুজন। সেদিন পুরো ক্লাসের সামনে শিক্ষক রণবীরকে কিছু একটা পারফর্ম করে দেখাতে বলেছিলেন। রণবীর এত ভালো অভিনয় করেছিলেন যে কারও করতালি যেন থামছিলই না। ওই মুহূর্তে রণবীর ঠিক করেন যে তিনি অভিনেতা হতে চান। করতালির শব্দ তিনি জীবনভর শুনতে চান।
ব্যান্ড বাজা বারাত–এর পর লেডিস ভার্সাস রিকি বেহেল ফ্লপ করল। লুটেরা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়লেও সমালোচকেরা বুঝে গেলেন, রণবীর এক দুর্দান্ত অভিনেতা। পরে শতকোটি টাকার হিট ছবি দেওয়ার পরও অনেকে বলেন, রণবীরের সেরা অভিনয় লুটেরাতে। মূলত রাম লীলা সিনেমার পর রণবীর সিংকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর বাজিরাও মাস্তানি, পদ্মাবত, সিম্বা ছবিগুলো রণবীরের অর্জনের মুকুটে একেকটি পালক।
এরপর তাঁকে দেখা যাবে এইটি থ্রি ছবিতে। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে ছবিটি। শিগগিরই শুরু হবে জয়েসভাই জোরদার ছবির শুটিং।