আলিয়া ভাটের স্বপ্ন পূরণ অনিশ্চিত

আলিয়া ভাট ও সালমান খান
আলিয়া ভাট ও সালমান খান

সালমান খান আর আলিয়া ভাট প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে অভিনয় করবেন সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘ইনশাল্লাহ’ ছবিতে। আগামী বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তৈরি হবে ছবিটি। টুইট করে তা নিশ্চিত করে বানসালি প্রোডাকশন। কিন্তু আজ সোমবার দুপুরে এই টুইট বার্তায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ‘বানসালি প্রোডাকশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই মুহূর্তে ‘“ইনশাল্লাহ” ছবির কাজ করবে না। শিগগিরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

গত ১৯ মার্চ টুইটারে সালমান খান লিখেছেন, ‘সঞ্জয় লীলা বানসালি নতুন ছবি বানাচ্ছেন। ২০২০ সালের ঈদে দেখা হবে। আমার বিপরীতে থাকবেন আলিয়া। “ইনশাল্লাহ”, দারুণ কিছু হবে।’ সালমান খান তখন টুইটারে আরও লিখেছিলেন, ‘২০ বছর পার হয়েছে। অবশেষে সঞ্জয় লীলা বানসালি আমাকে আবার তাঁর ছবিতে নিয়েছেন। ছবির নাম “ইনশাল্লাহ”।’

কিন্তু এবার সালমান খান টুইটারে লিখেছেন, ‘সঞ্জয় লীলা বানসালি পিছিয়ে গেছেন, কিন্তু ২০২০ সালের ঈদে আপনাদের সঙ্গে অবশ্যই দেখা হবে।’

সালমান খান ও আলিয়া ভাট
সালমান খান ও আলিয়া ভাট

১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবিতে ছিলেন সালমান খান। এই ছবিতে আরও ছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও অজয় দেবগন। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’কে ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম আইকনিক ছবি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আলিয়া ভাট ‘ইনশাল্লাহ’ ছবির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে যারপরনাই খুশি হয়েছিলেন। বলিউডে পা রেখেই সঞ্জয় লীলা বানসালির ছবিতে অভিনয়ের ইচ্ছা পোষণ করেন। তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেখে টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘তাঁরা আমাকে চোখ বড় বড় করে আর খোলা রেখে স্বপ্ন দেখতে বলেছিলেন। আমি তা-ই করেছিলাম। সঞ্জয় দত্ত এবং সালমান খান—দুজনে মিলে জাদুকরী কিছু করেন। আমি তাঁদের সেই যাত্রায় যোগ দেব, ভাবতেই দারুণ অনুভূতি হচ্ছে। “ইনশাল্লাহ” চমৎকার কিছু হবে।’

কিন্তু এখন এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি আলিয়া ভাটের এই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ ‘ইনশাল্লাহ’ ছবির কাজ কবে শুরু হবে, বানসালি প্রোডাকশন থেকে তা নিশ্চিত করা হয়নি।