ঈদে মায়ের হাতের শির খুরমা খেতে পছন্দ করেন সালমান

সালমান খান
ইনস্টাগ্রাম

বলিউডের তিন খান শাহরুখ, সালমান, আমির প্রতিবারই অন্য রকম ঈদ উদ্‌যাপন করেন। তাঁদের মধ্যে আমির খান কিছুটা সাদামাটাভাবে দিনটি পালন করেন। বাকি দুই খানের ঈদ উদ্‌যাপনে থাকে বেশ জাঁকজমকতা। তাঁদের বাড়ির সামনে হাজার হাজার ভক্ত ভিড় করেন। সালমান ও শাহরুখ অবশ্য তাঁদের ভক্তদের নিরাশ করেন না। তাঁরা বাড়ির বাইরে এসে ভক্তদের কাছে পৌঁছে দেন ঈদের শুভেচ্ছাবার্তা। তবে করোনার কারণে গতবারের মতো এবারও ঘরোয়া ভাবে ঈদ উদ্‌যাপন করবেন তাঁরা।

সালমান খান
সংগৃহীত

এই তিন খানের কৈশোরের ঈদ ছিল একেবারে অন্য রকম। তখন তাঁরা কেউই আজকের তারকা নন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাঁরা বলেছেন শৈশবের ঈদ উদ্‌যাপনের স্মৃতি। সালমান খানের শৈশবের ঈদ স্মৃতি বেশ আনন্দের। তারকা পরিবারের জন্ম হওয়ায় ঈদে বাড়িভর্তি অতিথি থাকত। তাই সালমানের শৈশবের ঈদ মানেই বাড়িতে আত্মীয়স্বজনের সমাগম।

ঈদের দিন পরিবার আর বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন সালমান খান। তিনি রোজাও রাখেন। রমজান মাসে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলেন সালমান। এই কয়েক দিন বেশ ভোরে ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। এই সময়ে নিজেকে ইতিবাচক রাখার চেষ্টা করেন তিনি। তবে ঈদের সময়ে সালমানের বাড়ির বিরিয়ানি বলিউডে দারুণ জনপ্রিয়। ঈদের দিন বলিউডের অনেক তারকাই সালমান খানের বাড়ির বিরিয়ানির অপেক্ষায় থাকেন।

জানা গেছে, সালমানের মা সালমা খানের নিজস্ব রেসিপি এটি। তবে সালমান বিরিয়ানির চেয়েও মায়ের হাতের শিরখুরমা খেতে বেশি পছন্দ করেন। এক সাক্ষাৎকারে সালমান তাঁর ঈদ উদ্‌যাপনের স্মৃতিচারণা করেছিলেন। শৈশবের ঈদ নিয়ে সালমান বলেন, ‘বিশেষ এই দিনে আমরা পরিবারের সবাই এক হতাম। বাড়ির আঙিনায় এলাহি খাবারদাবারের ব্যবস্থা করা হতো। আমরা ছোটরা ক্রিকেট, ফুটবল খেলতে ব্যস্ত থাকতাম। আর বড়রা নিজেদের মধ্যে আড্ডা দিতেন। এদিন আমাদের বাড়িতে প্রচুর মানুষ আসতেন। শুধু মুসলিম নয়, হিন্দু, কোলি, পার্সি, ক্যাথলিকসহ ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ ঈদের দিনে আমাদের বাড়িতে আসতেন। মনে হতো আমরা সবাই একই পরিবারের। বাড়ির বাইরেও বহু মানুষকে খাবার দেওয়া হতো।’

সালমান খান
ইনস্টাগ্রাম

সালমান আরও বলেন, ‘রমজানের সময় মা এক বাটি শুকনো ফল বাড়ির জানালার রোদে রাখতেন। রোজ পাখিরা এসে সেগুলো খেত। আর যা বেঁচে যেত আমি, আরবাজ আর সোহেল ভাগ করে খেতাম।’
রোজা রাখার স্মৃতিচারণাও করেছিলেন সালমান খান। তিনি বলেন, ‘আমি তখন স্কুলে পড়ি। সেদিন রোজা রেখেছিলাম। স্কুলের সুইমিংপুলে সাঁতার কাটব বলে ঝাঁপ দিয়েছি। আর যেই পানিতে ঝাঁপ দিয়েছি, অমনি আমার মুখে পানি ঢুকে যায়। রোজা রেখেছিলাম বলে পেট থেকে সেই পানি বের করতে মরিয়া হয়ে যাই।’

সালমান খান
ইনস্টাগ্রাম