কে এই ভাইরাল হুপড্যান্সার

ইশনা কুট্টির নাচের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ইন্টারনেটে। উঠে এসেছে টুইটারের ট্রেন্ডিংয়ে যেটা ছিল মূলত প্র্যাকটিসের আনাড়ি ভিডিও।

ইশনা কুট্টিকোলাজ

টুইটারে ইশনা কুট্টির কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। তবে তাঁর মা টুইটার ব্যবহার করেন। শুক্রবার সকালে হন্তদন্ত হয়ে তিনি মেয়েকে ঘুম থেকে টেনে তোলেন। ইশনা গেলেন ভড়কে। কী হয়েছে! খুশিতে আটখানা মা তাঁর মেয়েকে জানালেন, ভাইরাল! তাঁর নাচের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ইন্টারনেটে। উঠে এসেছে টুইটারের ট্রেন্ডিংয়ে। চোখ কচলাতে কচলাতে ইশনার মনে পড়ল, একটা নাচের প্র্যাকটিস করছিলেন। সেটারই এক টুকরো ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে ঘুমিয়েছিলেন। রাত পেরোতেই জন্ম নিল হুপড্যান্সের নতুন তারা, ইশনা কুট্টি।

ইশনা কুট্টি
ইনস্টাগ্রাম

তিন দিন ধরে ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক আর টুইটারে ভাইরাল ইশনা কুট্টির একটা নাচের ভিডিও। নাচটি ইনস্টাগ্রামে কেবল ইশনা কুট্টির আইডি থেকে দেখা হয়েছে ১২ লাখের বেশিবার। আর উঠে এসেছে টুইটারের ট্রেন্ডিংয়ে। ২১ বছর বয়সী ইশনা নেচেছেন অভিষেক বচ্চন ও সোনম কাপুর অভিনীত ২০০৯ সালের ‘দিল্লি সিক্স’ সিনেমার জনপ্রিয় ‘গেন্দা ফুল’ গানটির সঙ্গে। গানটি গেয়েছেন রেখা ভরদ্বাজ, শ্রদ্ধা পণ্ডিত ও সুজাতা মজুমদার। ইশনা কুট্টি তাঁর হুপ ড্যান্সের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ‘হ্যাশট্যাগ শাড়ি ফ্লো’। অনেকেই ইশনার অনুপ্রেরণায় একই রকম পোশাকে হুপ নাচ করছেন। বহু ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে ‘আ স্টার ইজ বর্ন’, ‘শাড়ি, কেডস অ্যান্ড দ্য হুপ প্লিজড দ্য ইন্টারনেট’ বা ‘ব্রোক দ্য ইন্টারনেট’ শিরোনামে।

ইশনার পরনে যা ছিল, তার ওপরেই চট করে শাড়ি পেঁচিয়ে নাচ করেছেন তিনি। আর নাচার ফর্মটাও অন্য রকম, অজনপ্রিয়। হুপড্যান্স। আপনি জানতেন, নাচটা এভাবে ইন্টারনেটে নেচে বেড়াবে? এনডিটিভির লাইভে এমন প্রশ্নের উত্তরে ইশনা বলেন, ‘আরে না। আমি তো প্র্যাকটিস করছিলাম। পায়জামা আর টপসের ওপরে শাড়িটা পরেছিলাম। ভাবছিলাম, একটু ভালোভাবে নাচটা তুলে পেটিকোট দিয়ে সুন্দর একটা শাড়ি পরে ঠিকঠাকভাবে নাচব। তা–ও কী মনে করে আনাড়ি ভিডিওটাই শেয়ার করলাম। আর তিন দিনের মাথায় আজ এ অবস্থা! সবাই ইন্টারভিউর জন্য ডাকছে, ফোন করছে, মেইল করছে, বাসায় চলে আসছে। আমি সব লগআউট করে দরজার লক করে ঘুমাচ্ছি আর পরের নাচটা নিয়ে ভাবছি।’ এ প্রশ্নের আগে অবশ্য উপস্থাপক বললেন, তিনি ৩০–৪০ বার ইশনার নাচটা দেখেছেন। কিন্তু তাঁর ক্লান্তি লাগছে না।

ইশনা কুট্টি
ইনস্টাগ্রাম

ইশনা জানান, তিনি এক দশক ধরে এভাবে নাচছেন। এখন কোমর, হাত, পা, মাথা, নাক—সব দিয়েই হুপ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নাচতে পারেন। ইশনা যা শিখেছেন, কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়া নিজে থেকেই শিখেছেন। তিনি বললেন, চাইলে যে কেউ নাকি তিন-চার বছরেই তাঁর মতো পারদর্শী হতে পারবে এ নাচে। সে জন্য দরকার কেবল অনুশীলন, অনুশীলন আর অনুশীলন।