অনেক কটুকথা শুনতে হয়েছিল বিদ্যাকে

বিদ্যা বালান
ইনস্টাগ্রাম

‘একটা মোটা মেয়ে হিসেবে বড় হওয়া, ক্যারিয়ার গড়া যে কত কঠিন, তা আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। “মোটা” শরীরের জন্য বারবার আমাকে কটুকথা শুনতে হয়েছে। আর আমি প্রতিবার ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে গেছি। দীর্ঘ সময় ধরে আমি আমার শরীরকে ঘৃণা করেছি। আমি ক্রাশ ডায়েট করেছি। প্রতিদিন আড়াই ঘণ্টা করে জিম করেছি, পাতলা হয়েছি। ‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’, ‘ভুল ভুলাইয়া’, ‘হেই বেবি’, ‘কিসমত কানেকশন’, ‘পা’ সিনেমাগুলো করেছি। সিনেমা হিটও হয়েছে। সিনেমার প্রশংসা শেষে আমার বেলা এলেই লেখা হচ্ছিল, “ওর শরীর সুন্দর না”। তারপর আমি সাময়িকী পড়া বন্ধ করে দিলাম। নিজেকে অন্যের চোখে দেখা বন্ধ করলাম। এভাবে জীবন বদলে গেল।’

আরও পড়ুন

বিবিসি এশিয়ান নেটওয়ার্ককে এভাবেই বলিউডে নিজের ১৬ বছরের পথচলা নিয়ে বললেন বিদ্যা বালান। তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক করলাম, এত দিন দর্শক যা চেয়েছে, আমি তাই–ই করেছি। এবার আমি যা চাই, তা করব। আর দর্শক দেখবে।’

আমি ঠিক করলাম, এত দিন দর্শক যা চেয়েছে, আমি তাই–ই করেছি। এবার আমি যা চাই, তা করব। আর দর্শক দেখবে।
বিদ্যা বালান, বলিউড অভিনেত্রী

যেমন ভাবনা তেমন কাজ। ইচ্ছেমতো খাওয়াদাওয়া শুরু করলেন বিদ্যা। নিজের এই ‘মোটা’ শরীর নিয়ে ফের পর্দায় এলেন। আর পেয়ে গেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ডার্টি পিকচার নামের সেই ছবিটিই হয়ে থাকল বিদ্যার ক্যারিয়ারের মাইলফলক। বিদ্যা বলেন, ‘আমি হৃদয় উজাড় করে, কোনো কিছু পরোয়া না করে ছবিটা করলাম। আর সেই মোটা মেয়েকে দেখে সবাই হলে হইহই করে উঠল। তারপর আমি আর কোনো কিছু নিয়ে ভাবিনি। কেবল নিজের মনের কথা শুনেছি।’

বিদ্যা বালান
ইনস্টাগ্রাম

‘কাহানি’, ‘কাহানি টু’, ‘শাদি কি সাইড ইফেক্টস’, ‘বেগম জান’, ‘মিশন মঙ্গল’, ‘শকুন্তলা দেবী’—একের পর এক বৈচিত্র্যময় চরিত্র দিয়ে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিলেন। প্রথাবিরোধী নারী চরিত্রকে বলিউডের বড় পর্দায় প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিদ্যা বলেন, ‘কাউকে না কাউকে ভিত্তিপ্রস্তর বানিয়ে দিতে হয়। সেই ভিত্তিকে প্রতিষ্ঠা করতে লাগে সবার অংশগ্রহণ। তখন পুরুষতন্ত্র ভেঙে একটা ধারা প্রতিষ্ঠা পাবে। আর সেটাই চলছে।’

আরও পড়ুন