কবিতায় টিকা নেওয়ার আহ্বান জানালেন গুলজার

নিজ বাড়ির বেলকনিতে গুলজার। গত বছর ১৮ আগস্ট তাঁর জন্মদিনে। ছবি: এএনআই
ANI

কবিতায় মানুষজনকে করোনার টিকা দেওয়ার আহ্বান জানালেন ভারতের খ্যাতিমান কবি ও চলচ্চিত্রকার গুলজার। কবির উন্নয়ন সংস্থা আরুশির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে স্বকণ্ঠে আবৃত্তি করা সেই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে শুক্রবার। সেখানে গুলজার লিখেছেন,
‘কোভিড থেকে বাঁচার তরিকা আছে,
আছে মুক্তির উপায়।
জলদি টিকা নাও,
আপনিও বাঁচবেন, দেশও বাঁচবে।
সঙ্গে থাকার তরিকা।’

করোনাকালে অবসাদগ্রস্ত মানুষের মধ্যে আশার আলো ছড়াতে এবং প্রকৃতিকে পরিচর্যার বার্তা জানিয়ে গত বছর সংগীত পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ ও প্রযোজক রেখা ভরদ্বাজের সঙ্গে যৌথভাবে কিছু গান করেছিলেন গুলজার। করোনাকালে লেখা সেসব গান প্রসঙ্গে কবি বলেছিলেন, ‘আমি বলেছি, বিশাল লিখে নিয়েছে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই মহামারিতে আমরা আরও কিছু গান করব। পরিবেশ ও পৃথিবীকে বাঁচাতে এসবেরও দরকার আছে।’

গুলজার এসেছিলেন শিল্পী রুনা লায়লার ঢাকার বাসায়। ছবি: প্রথম আলো

গুলজারের আসল নাম সম্পূরণ সিং কালরা। তিনি ১৯৩৪ সালের ১৮ আগস্ট অবিভক্ত পাঞ্জাবের ঝিলম জেলার দিনায় জন্মগ্রহণ করেন। মুম্বাইয়ে একসময় গাড়ি মেরামতির কাজ করতেন। কিন্তু তাঁর ছিল লেখালেখির প্রতি তীব্র ঝোঁক। ভর্ৎসনা করে তাঁর বাবা বলতেন, ‘লেখক হতে গেলে সারা জীবন তোমার ভাইয়ের ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে।’

গত বছরের জানুয়ারি মাসে ‘ছপাক’ ছবির গান প্রকাশের সময় লক্ষ্মী আগারওয়াল, গুলজার, দীপিকা ও পরিচালক মেঘনা গুলজার। লক্ষ্মীর জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয় সিনেমাটি। ছবি: এএনআই

শিল্প-সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০০২ সালে পেয়েছেন সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার আর ২০০৪ সালে পদ্মভূষণ। এ ছাড়া একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। প্রায় ২৩ বার পেয়েছেন ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড। ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ সিনেমার ‘জয় হো’ গানটির জন্য ভারতের আরেক কিংবদন্তি এ আর রাহমানের সঙ্গে যৌথভাবে পেয়েছেন অস্কার আর গ্র্যামি পুরস্কার। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে তিনি লাভ করেন ভারতের চলচ্চিত্রজগতের সর্বোচ্চ সম্মানজনক দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার।