করোনা থেকে সেরে মারা গেলেন এ আর রহমানের মা

অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী ও সুরকার এ আর রহমানের মা করিমা বেগম মারা গেছেন। আজ সোমবার বার্ধক্যের কারণে চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ আর রহমান নিজেই। তবে সেই পোস্টে কিছুই লেখেননি উপমহাদেশের জনপ্রিয় এই সংগীত তারকা। কেবল পোস্ট করেছেন মায়ের হাসিমুখের একটি ছবি।

এ আর রাহমান ও তাঁর মা করিমা বেগম
সংগৃহীত

করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন করিমা বেগম। তবে করোনায় মৃত্যু হয়নি তাঁর। করোনা থেকে সেরেও উঠেছিলেন। মায়ের খুবই কাছের ছিলেন এ আর রহমান। তাঁর সংগীত তারকা হওয়ার পেছনে তাঁর মায়ের অনুপ্রেরণা ছিল। কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে মাকে নিয়ে এ আর রহমান বলেছিলেন, ‘আমার মা গান শুনতে খুবই ভালোবাসেন। সংগীতকে তিনি খুব সহজে তাঁর হৃদয়ের বড় একটা অংশীদার করেছিলেন। তাঁর চিন্তাধারায় একটা সুফিবাদ আছে। আমার অনেক কিছুই তাঁকে দিয়ে অনুপ্রাণিত।’

এই ছবিটি শেয়ার করেছেন এ আর রাহমান
টুইটার

মাত্র ৯ বছর বয়সে মারা যান এ আর রহমানের বাবা আর কে শেখর। তিনিও সংগীত জগতেরই মানুষ। তামিল আর মালয়ালাম ছবির জন্য সংগীত পরিচালনাও করেছেন তিনি। বাবা মারা যাওয়ার সময় এ আর রহমানের নাম ছিল দিলীপ কুমার। সেই সময় থেকে তাঁর মা–ই তাঁকে মানুষ করেছেন। ১৯৮৮ সালে এ আর রহমানের ছোট বোন যখন প্রচণ্ড অসুস্থ, সেই সময় হিন্দু থেকে মুসলমান হন তিনি। ১৯৯৫ সালে সায়রা বানুকে বিয়ে করেন এ আর রহমান।  

অস্কার পাওয়ার পর এ আর রাহমান
সংগৃহীত

বাংলাদেশের মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘নো ল্যান্ডস ম্যান’ ছবিতে সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন উপমহাদেশের সংগীতে উজ্জ্বল নাম এ আর রাহমান। শুধু সংগীতে নয়, ফারুকীর এই ছবির সহপ্রযোজকও তিনি। নো ল্যান্ডস ম্যান ছবিটি এই মুহূর্তে রয়েছে সম্পাদনার টেবিলে।

এ আর রাহমান
ইনস্টাগ্রাম

সংগীত পরিচালক কিংবা সুরকার হয়েও যে রীতিমতো প্রথম সারির তারকা হওয়া যায়, আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হয়ে ওঠা যায়, তার প্রমাণ এ আর রাহমান। ভারতের চলচ্চিত্র জগতে তিনি তারকাদের তারকা। নেপথ্যের মানুষ হয়েও এমন তারকাবাজি, এ আর রাহমানের আগে কোনো ভারতীয় সংগীত পরিচালক করে দেখাতে পারেননি। তাঁকে দক্ষিণ ভারতের মানুষ ডাকে ‘দ্য মোৎসার্ট অব মাদ্রাজ’ নামে।

নুসরাত ইমরোজ তিশা, এ আর রাহমান এবং নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী
ফেসবুক থেকে