করোনায় আক্রান্ত কণিকার পাশে একমাত্র সোনম

কণিকা কাপুর ও সোনম কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
কণিকা কাপুর ও সোনম কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বলিউডের প্লেব্যাক শিল্পী কণিকা কাপুর লন্ডন থেকে ফেরার বিষয়টি গোপন করেছিলেন। অংশ নিয়েছিলেন হোলি খেলায়। শুধু তা-ই নয়, লক্ষ্ণৌতে পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে নিকটাত্মীয় ও বন্ধুবান্ধব ছাড়াও যোগ দিয়েছিলেন বহু আমলা, রাজনীতিক এবং সুধীজনেরা। পাঁচ দিন সর্দি–জ্বরে ভোগার পর পরীক্ষা করে জানতে পারেন, তাঁর শরীরে বাসা বেঁধেছে কোভিড–১৯ ভাইরাস। এই ঘটনায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন মেডিকেল কর্মকর্তারা, দারুণ চটেছেন বলিউড তারকারা।

ক্ষুব্ধ অক্ষয় কুমার ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘আমি ঘর থেকে বলছি। আশা করি, আপনারাও ঘরে বসে আমার কথা শুনছেন। ‘কিছু মানুষ’ এয়ারপোর্ট থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে না গিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, পার্টি করছেন, বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। কীভাবে সম্ভব, আমার মাথায় ঢোকে না। প্লিজ, আপনারা ঘরে থাকুন।’

সোনম কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সোনম কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কণিকা কাপুর কোয়ারেন্টিনে, ইয়েস ব্যাংকের সিইও রানা কাপুর জেলে। তাই ঋষি কাপুর এই দুজনের ছবি শেয়ার করে টুইটারে লিখেছেন, ‘কাপুর লোকেরা যে কী করছে! দিন খারাপ।’ আরেক সংগীতশিল্পী সোনা মহাপাত্র লিখেছেন, ‘পাঁচ দিন ধরে কণিকা কাপুর শরীরে ভাইরাস নিয়ে ঘুরেছেন। আমি কল্পনাও করতে পারি না, এটা কীভাবে সম্ভব হলো। প্লিজ, প্রধানমন্ত্রী করোনা নিয়ে কত সুন্দর বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা শোনাতে আসবে না।’

পুরো বলিউড যখন কণিকা কাপুরের খামখেয়ালিপনায় ক্ষুব্ধ–বিরক্ত, তখন সোনম কাপুর নিলেন কণিকা কাপুরের পক্ষ। টুইট করলেন, ‘বন্ধুরা, আপনারা এবার একটু থামুন। কণিকা ভারতে পা দিয়েছেন মার্চের ৯ তারিখে। তখন পুরো ভারত হোলি খেলছিল। কোয়ারেন্টিনে আইসোলেশনে ছিল না।’

এই পোস্টের পরে সবাই জেনে গেল যে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে করোনা ছড়িয়েছেন কণিকা। তাতে এই ৮-৯ দিনে অসুস্থ হয়ে লক্ষ্ণৌ হাসপাতালে ভর্তির আগ পর্যন্ত কোথায় কোথায় গেছেন, কাদের সঙ্গে মিশেছেন, সেলফি তুলেছেন—সেই তালিকা করতে গিয়ে সবার মাথায় হাত।

কণিকা কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
কণিকা কাপুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

এরপরেও কণিকা কাপুর ভারতের প্রথম সারির একটি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, ‘মার্চের ১১ তারিখে আমি মুম্বাই থেকে লক্ষ্ণৌ আসি। আর যে কেউ খোঁজ নিয়ে দেখতে পারে, তখন ভারত সরকারের পক্ষ থেকে করোনা নিয়ে কিচ্ছু বলা হয়নি। কোভিড নাইনটিনে আক্রান্ত একজন রোগীও পাওয়া যায়নি। কেউ আমাকে বলেনি সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকতে। তাহলে কীভাবে লোকে আশা করে যে আমি হোলির দিন, পার্টির দিন ঘরে দরজা–জানালা বন্ধ করে বসে থাকব! আমার কোনো লক্ষণও ছিল না। এয়ারপোর্টে চেক করার সময় সব ঠিক ছিল।’

কণিকা এই সাক্ষাৎকার দেন আইসোলেশনে যাওয়ার পর। কিন্তু এরও চার দিন আগে থেকে তাঁর লক্ষণ দেখা দিলেও তিনি তা গোপন করে পার্টি করেছেন। এমনকি লন্ডন থেকে ফেরার বিষয়টিও গোপন করেছেন।

কণিকার গাওয়া ‘বেবি ডল’ গানটি ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয় সারা পৃথিবীতে। বলা যায়, এ গানে অভিনয় ও ঠোঁট মেলানোর সুবাদে নতুন করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন সানি লিওন। এ ছাড়া বাংলাদেশের আলোচিত নায়িকা পরীমনি অভিনীত ‘রক্ত’ ছবিতে কণিকার গাওয়া ‘ডানা কাটা পরী’ গানটি বাংলাদেশে ভীষণ জনপ্রিয় হয়।