ক্যাটরিনার ভয় টমেটোতে, শাহরুখের ঘোড়ায়

কেউ এক হাতে গাড়ি উল্টে দেন। কেউ আবার এক ঘুষিতে গোটা মানুষ উড়িয়ে দেন। কাউকে আবার ঘোড়ার পিঠে চেপে নানান কেরামতি করতে দেখা যায়। বলিউড তারকারা মাঝেমধ্যেই রুপালি পর্দায় নানান অদ্ভুত কাণ্ডকারখানা করে থাকেন। পর্দায় তাঁদের দাপট দেখলে অবাক হতে হয়। কিন্তু বাস্তব জীবনে তাঁদের নানান জিনিসে ভীতি আছে। কেউ টমেটোতে, কেউবা আরশোলায়, আবার কেউ সিলিং ফ্যান দেখলে ভয় পান।

শাহরুখ খান

শাহরুখ খান
বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান ঘোড়াকে দারুণ ভয় পান। অনেক ছবিতে তাঁকে ঘোড়ার পিঠে সওয়ারি হতে দেখা গেছে। তবে কিং খানের ঘোড়াভীতি ছবির দুনিয়ায় পা রাখার পরে হয়েছে। করণ, অর্জুন ছবিতে শাহরুখের ঘোড়ার পিঠে সওয়ারির এক দৃশ্য ছিল। আর দৃশ্যটি করতে গিয়ে তিনি ভালোমতো চোট পেয়েছিলেন। আর তারপর থেকে ঘোড়া থেকে কিং খান দূরে থাকার চেষ্টা করেন।

ক্যাটরিনা কাইফ
ইনস্টাগ্রাম

ক্যাটরিনা কাইফ
টিকটিকিকে কমবেশি অনেকেই ভয় পান। বলিউড নায়িকা ক্যাটরিনা কাইফও তাঁদের দলে পড়েন। তবে আর একটা জিনিসের প্রতি তাঁর ভীতি আছে। আর যার নাম শুনলে অবাক হতে হবে। এই বলিউড অভিনেত্রী টমেটোকে ভয় পান। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। এ ধরনের ভীতিকে লাইকোপারসিকোয়াফোবিয়া বলে। ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবির টোমাটিনা ফেস্টিভ্যালের গানের দৃশ্যটি শুটিংয়ের সময় ক্যাটরিনার এ ভীতির কথা ফাঁস হয়। তবে এখানে তিনি ভয়কে জয় করে কোনোমতে শুটিং করেছিলেন। শোনা গেছে, টমেটোর প্রতি ভয়ের কারণে টমেটো কেচাপের এক বিজ্ঞাপন তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

যে ঘরে সিলিং পাখা আছে, সেখানে মোটেও থাকতে চান না অর্জুন কাপুর

অর্জুন কাপুর
অর্জুন কাপুরের এক অদ্ভুত জিনিসের প্রতি ভীতি আছে। এই বলিউড তারকার বাসায় একটিও সিলিং পাখা নেই। আর যে ঘরে সিলিং পাখা আছে, সেখানে মোটেও থাকতে চান না অর্জুন। এদিকে এই বলিউড নায়ককে পর্দায় লোমহর্ষ অ্যাকশন দৃশ্য করতে দেখা যায়।

লিফটে চড়তে ভীষণ ভয় পান সোনম

সোনম কাপুর
বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুরের বদ্ধতাভীতি (ক্লাস্ট্রোফোবিয়া) আছে। মানে কোনো বদ্ধ স্থানে সোনমের মনে হয় তিনি ফেঁসে গেছেন। এখান থেকে আর পালাতে পারবেন না। ক্লাস্ট্রোফোবিয়ার জন্য লিফটে চড়তে ভীষণ ভয় পান সোনম। তাই লিফটের পরিবর্তে অনেক সময় সিঁড়ি ব্যবহার করেন তিনি।

আলিয়া ভাট অন্ধকারকে খুবই ভয় পান
ইনস্টাগ্রাম

আলিয়া ভাট
বলিউড নায়িকা আলিয়া ভাট অন্ধকারকে খুবই ভয় পান। অন্ধকার ঘরে তিনি একদম ঘুমাতে পারেন না। ঘুমানোর সময় তাঁর ঘরে একটা হালকা বাতি জ্বলে। আর জানালার পর্দা অল্প সরিয়ে রাখেন তিনি।