গান শোনার কাজলীয় পদ্ধতি

কাজল

আচ্ছা, আপনার গান শোনার পদ্ধতিটা কী? গানের পুরোটাই কী মন দিয়ে শোনেন, নাকি ভালো না লাগলে মাঝপথেই বন্ধ করে দেন? নাকি নতুন গানে চলে যান? আর যে গানটা ভালো লাগে, সে ক্ষেত্রে কী করেন? একবারই শোনেন, নাকি বারবারই শুনতে থাকেন, যতক্ষণ না মহা বিরক্ত হয়ে ওঠে আশপাশের লোকজন?

কাজল

দেখুন তো অভিনেত্রী কাজলের সংগীত শ্রবণপদ্ধতির সঙ্গে আপনারটা মেলে কি না। নিজের ইনস্টাগ্রামে পদ্ধতিটা তুলে ধরেছেন তিনি।

কাজল

জানিয়েছেন সাধারণত তিন পদ্ধতিতে গান শুনে থাকেন তিনি—
১. মাঝপথে কোনো বাধার সৃষ্টি না করে পুরো গানটাই শোনা।
২. প্রতিটা গানেই অরুচি, ফলে প্রতিটা গানই স্কিপ করে যাওয়া।
৩. একই গান বারবার শুনতে থাকা। আর দিনের পর দিন চলতে থাকে এই শ্রবণ।
নিজের এই সংগীত–মেজাজ তুলে ধরে ভক্তদের কাছে কাজলের প্রশ্ন, আপনার পদ্ধতি কী?

মায়ের সঙ্গে কাজল

মা তানুজা হিন্দি ছবির একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাই স্কুলের গণ্ডি না পেরোতেই মাত্র ১৬ বছর বয়সেই কাজলের অভিষেক বলিউড ছবিতে। ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি ‘বেখুদি’ খুব একটা সাড়া জাগাতে না পারলেও পরের বছরেই মুক্তি পায় আব্বাস-মস্তানের ‘বাজিগর’। সুপারহিট এই ছবিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন শাহরুখের বিপরীতে। আর এই ছবির জনপ্রিয়তাই কাজল-শাহরুখের ক্যারিয়ারের বাঁক হিসেবে ধরা হয়।

কাজল

১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় এই জুটির আরেকটি সুপারহিট ছবি ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’। রাজ-সিমরান জুটির এই প্রেমকাহিনি মুক্তির পর ভেঙে দেয় বলিউড বক্স অফিসের সব রেকর্ড। কাজলের বিখ্যাত ছবির মধ্যে আছে ‘বাজিগর’, ‘ইয়ে দিল্লাগি’, ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’, ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’, ‘পিয়ার তো হোনা হিথা’। নেটফ্লিক্সের ছবি ‘ত্রিভঙ্গ’তে তাঁকে সর্বশেষ দেখা গেছে। কাজল শুধু ছবি দিয়েই কোটি দর্শকের মন জয় করেননি, বরং সংসারজীবনেও হয়েছেন সফল। স্বতঃস্ফূর্ত, সাহসী, পর্দায় সাবলীল কাজল ছবির চেয়েও বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন নিজের সংসারকে, নিজের সন্তানদের।