গালিগালাজ মোটেই পছন্দ করি না, বললেন কাজল

বলিউডে কাজলকে তুলনা করা হয় শাহরুখ খান, আমির খান, সালমান খান, অক্ষয় কুমারদের সঙ্গে, যাঁদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আবেদন আর দাপটও বেড়েছে বড় পর্দায়। ৪৬–এ দাঁড়িয়েও এতটুকু ফুরিয়ে যাননি কাজল। ‘তানহাজি’র পর পদ্মশ্রী পাওয়া এই অভিনেত্রী দেখা দিয়েছেন ‘ত্রিভঙ্গ’ সিনেমায়। সম্প্রতি অভিনয়, ব্যক্তিজীবন আর মাতৃত্ব নিয়ে ফিল্মফেয়ারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

১৭ বছরের নাইসা আর ১০ বছরের যুগ—এই দুই সন্তানের মা কাজল। এই দুই সন্তানের জন্মের সময় বড় পর্দা থেকে দুই দফায় ছুটি নিয়েছেন। আবার সন্তান সামলে ফিরেছেন চেনা–পরিচিত সেটে।

মায়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক কেমন? এমন প্রশ্নের উত্তরে কাজল বলেন, ‘প্রত্যেক মা আর মেয়ের সম্পর্ক আলাদা, অত্যন্ত গভীর, আবার কখনো জটিলও। মা ভালো বা খারাপ হতে পারেন, মেয়েও ভালো বা খারাপ হতে পারে, তবে সেই মা আর মেয়ের সম্পর্ক খুবই মজবুত। সেই সম্পর্ক মাঝেমধ্যে আলগা হতেই পারে, তবে কখনোই ভাঙে না। তাঁদের মধ্যে যত ঝড়ঝাপটাই আসুক না কেন, তাঁরা সেটা সামলে সামনে এগোতে সক্ষম।’

মা তনুজার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন? এই প্রশ্নের উত্তরে কাজল জানান, ‘এটা মহাবিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক। আমি ছোটবেলায় কখনো মায়ের সঙ্গে যুদ্ধ করিনি। মা বাদে বাকি বিশ্বের সঙ্গে ছিল আমার যুদ্ধ, আর সেই যুদ্ধে মা আমার পক্ষে ছিলেন, আমার সমর্থক ছিলেন। আমি আজ যতটা যা, এর পেছনে মায়ের ভূমিকা মুখ্য।’

কড়া মা হিসেবে বলিউডে নামডাক আছে কাজলের। তবে রেগে গেলে কখনোই গালি দেন না। গালি দেওয়া নিয়ে কাজল বলেন, ‘আমি গালিগালাজ মোটেই পছন্দ করি না। বিশ্বাস করুন, সিনেমায় আমি যত খারাপ কথাই বলি না কেন, বাস্তবের জীবনে আমি কখনোই কাউকে গালি দিইনি, দিই না। অনেকে আবার এটিকে ভাবপ্রকাশের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে দেখেন। আমার মনে হয়, মানুষ যতটা না নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশের জন্য গালি দেয়, তার চেয়ে বেশি দেয় আরেকজনকে ছোট বা আহত করার জন্য।’

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বলিউড কেবলই সামনের দিকে এগিয়েছে বলে মনে করেন কাজল। এখনো নানা ধরনের বৈষম্য, পুরুষতান্ত্রিকতা আর স্বজনপ্রীতি আছে। তবে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তনও এসেছে। বলিউডের সিনেমা আর ‘লার্জার দ্যান লাইফ’ ধারণার ভেতরে সীমাবদ্ধ নেই। আগে যেমন বলিউডে কেবল তারকাদেরই জায়গা ছিল। এখন ‘ক্যারেক্টার আর্টিস্ট’রাও ভালো পারিশ্রমিক পাচ্ছেন, এমনকি ভালো অভিনয়গুণে তারকাখ্যাতিও মিলছে।

নারীপ্রধান গল্প, চরিত্র, চিত্রনাট্য আর সিনেমা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ইন্ডাস্ট্রি এখন নানা ধরনের শিল্পী আর গল্পপ্রধান সিনেমাকে জায়গা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সীমানা আরও বাড়বে বলেও বিশ্বাস ছয়বার ফিল্মফেয়ার–জয়ী এই অভিনেত্রীর।