জামিন পেলেন না শাহরুখপুত্র, ৭ অক্টোবর পর্যন্ত রিমান্ড

জামিন না রিমান্ড? আরিয়ানের ভাগ্যে কী আছে? মুম্বাইয়ে আজ সারা দিন এই ছিল টক অব দ্য টাউন। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল মানুষের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত তারকা পুত্রকে জামিন দিলেন না আদালত। ৭ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ানকে এনসিবির হেফাজতেই থাকতে হবে। মাদক–কাণ্ডের অন্য দুই অভিযুক্ত আরবাজ মার্চেন্ট, আর মুনমুন ধামেচাকেও ৭ অক্টোবর পর্যন্ত হেফাজতে রাখা হবে।

সোমবার বাবার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন আরিয়ান খান

আজ কিলা কোর্টে আরিয়ান, আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচাসহ আরও আট অভিযুক্তকে হাজির করা হয়েছিল। আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে আদালতকে জানিয়েছিলেন যে আরিয়ানের কাছে কোনো প্রকার মাদকদ্রব্য ছিল না।

মাদক–কাণ্ডের সঙ্গে আরিয়ানের কোনো প্রকার সংযোগও নেই। শাহরুখপুত্রকে প্রমোদতরিতে আয়োজিত পার্টিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেন সতীশ মানশিন্ডে।

আরিয়ান খান

জানা গেছে, আরিয়ানের মুঠোফোন খতিয়ে এক বিশেষ কোড ওয়ার্ড, মাদকের ছবি, বেশ কিছু চ্যাট উদ্ধার করেছে এনসিবি। এই তারকা পুত্রের সঙ্গে মাদক সরবরাহকারীদের যোগাযোগ আছে বলে দাবি করছে এনসিবি। আর তাই এনসিবি আরিয়ানসহ বাকি অভিযুক্তদের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত রিমান্ড বাড়ানোর আবেদন করেছিল।

আরিয়ান খান

এনসিবি এই কোড ওয়ার্ড খোলাসা করতে রিমান্ড বাড়ানোর দাবি করেছে। জানা গেছে, মাদক র‍্যাকেটের শিকড় অবধি পৌঁছাতে সব প্রমাণ সংগ্রহ করছে এনসিবি। এনসিবি কর্মকর্তা সমীর বানখেড়ে আদালতকে জানিয়েছেন যে তদন্তের স্বার্থে আরিয়ানসহ বাকি অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া জরুরি।

আরিয়ান খান

শনিবার রাতে এক বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে আয়োজিত মাদক পার্টিতে অভিযান চালিয়ে ছিল এনসিবি। এই পার্টিতে আরিয়ানসহ আরও অনেককে আটক করে তারা। প্রায় ১৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আরিয়ান খান, অভিনেতা আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধামেচাসহ আরও অনেককে গ্রেপ্তার করে এনসিবি।