জাহাঙ্গীর না, ছেলের নাম রাখলেন জেহ

সাইফ আলী খান, কারিনা কাপুর ও তৈমুর আলী খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বড় ছেলে তৈমুরের নাম নিয়ে কম কথা শুনতে হয়নি! ছোট ছেলের নাম তাই আর আগেভাগে প্রকাশ করেননি সাইফ আলী খান ও কারিনা কাপুর খান। ইচ্ছা ছিল কারিনার মাতৃত্বের সফর নিয়ে লেখা বইয়েই প্রকাশ করবেন ছেলের নাম। কিন্তু কারিনার বাবা রণধীর কাপুর ভুল করে জানিয়ে দেন, নাতির নাম জেহ। তারপর সাইফিনাও স্বীকার করতে বাধ্য হন, হ্যাঁ ছেলের নাম জেহ।

কিন্তু কারিনার বই প্রেগনেন্সি বাইবেল–এ লেখা হয়েছে, কারিনার ছেলের নাম জাহাঙ্গীর, মানে জাহাঙ্গীর আলী খান। জাহাঙ্গীর থেকে জেহ। অমনি হইচই করে উঠল নেটিজেনরা।

নেটিজনদের মন্তব্যের এমনই ধার! নাম পর্যন্ত পাল্টে যায়
ইনস্টাগ্রাম

বাজে মন্তব্যে ভরে গেল টুইটার। ‘এবার তৃতীয় সন্তান নিয়ে নাম আওরঙ্গজেব রাখুক সাইফ-কারিনা’, ‘মোগল সম্রাটদের নিয়ে টিম বানানোর চেষ্টায় আছেন দম্পতি’—একের পর এক কুৎসিত মন্তব্যে ভরে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এর প্রভাব কারিনা কাপুরের ওপর এতটাই পড়ে যে শেষমেশ পুরোনো নামেই ফিরে গেলেন কারিনা। সোমবার করণ জোহরের ইনস্টাগ্রাম লাইভে জানালেন, জেহই তাঁর ছেলের নাম।

নেটিজনদের মন্তব্যের এমনই ধার! নাম পর্যন্ত পাল্টে যায়। পরের বাড়া ভাতে ছাই না দিতে পারলে এদের মনই যেন ভরে না। কে কী খাবে, কী পোশাক পরবে, কোথায় যাবে, কোথায় যাবে না—এসব নিয়ে চর্চাকারীরা আসলে কারা? কারিনা কাপুর একবার বলেছিলেন, যাঁদের কাজ নেই, ওরা তাঁরাই।

সম্প্রতি কারিনা তৃতীয় সন্তান, ‘প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ পাঠকদের জন্য বাজারে ছাড়লেন

এই তো কদিন আগে অনলাইনে কুৎসিত মন্তব্যকারী এমনই এক ট্রলের মুখোমুখী হয়েছিলেন তাপসী পান্নু। তাপসীর পোশাক নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য করেছিলেন ওই ব্যক্তি।

মা কারিনা কাপুর খানের সঙ্গে তৈমুর আলী খান। ছবি: ছবি: ইনস্টাগ্রামে

অথচ জানা গেল, নিছক ভাইরাল হতেই কাজটা করেছিলেন তিনি। কিন্তু এরা কি বুঝতে পারে, কতটা মানসিক চাপ তৈরি হয় ট্রলের শিকার মানুষটির ওপর। ছোট্ট একটা শব্দের মন্তব্য জীবনটা তছনছ করে দিতে পারে। এমন উদাহরণও বিরল নয়। এই আমড়া কাঠের ঢেঁকিদের আপদ থেকে মুক্তি কোথায়? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই প্রতিযোগিতা যেন বেড়েই চলছে। তাদের হাত থেকে যেন নিস্তার নেই। কারিনা কাপুরও পাননি।