জ্যোতিষীর মানা, তারপরও কেন নুসরাত ফারিয়ার কালো প্রিয়

নুসরাত ফারিয়া
প্রথম আলো

জ্যোতিষবিদ্যায় তাঁর পূর্ণ বিশ্বাস, আর জ্যোতিষী তাঁকে কালো পরতে বারণ করেছেন। এরপরও ‘বড় মঞ্চের তারকা’য় কালো শাড়ি পরেই হাজির হয়েছিলেন নুসরাত ফারিয়া। এই সূত্র ধরে কালো পোশাক নিয়েই আলোচনার সূত্রপাত করলেন দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। জবাবে এই এই মডেল, উপস্থাপক, গায়িকা ও অভিনেত্রী বলেন, ‘আমাকে কেন জানি জ্যোতিষী কালো পরতে বারণ করেছেন। বলেছেন, কালো যতটা এড়ানো যায়, ততই ভালো। কিন্তু আমার কালো পরতে খুব মন চায়। কালো এমন একটা রং, পরলে আমাকে সুন্দর লাগে। দেখতে ফিট লাগে। একটু কম মোটা লাগে। সবকিছু মিলে কালো আমার পছন্দের রং।’

তাহলে জ্যোতিষীর কথা মানলেন না কেন, জানতে চাইলেন পূর্ণিমা। ফারিয়ার উত্তর, ‘আজ কালো শাড়িটা দেখে আমার মনে হয়েছে, যা আছে কপালে, পূর্ণিমা আপুর অনুষ্ঠানে কালো শাড়িই পরব। একটু রিস্ক নিলাম। কারণ, লাইফে রিস্ক নিতেই হয়।’

প্রথম আলো অনলাইনের আয়োজনে হাতিল নিবেদিত ‘বড় মঞ্চের তারকা’য় দিলারা হানিফ পূর্ণিমার মুখোমুখি হয়েছিলেন নুসরাত ফারিয়া
প্রথম আলো

প্রসঙ্গ এবার অন্যদিকে নিয়ে গেলেন পূর্ণিমা, ‘মিডিয়ায় তোমার শুরুটা আরজে (রেডিও জকি) হিসেবে।’ চটজলদি তথ্যটা সংশোধন করে দিলেন ফারিয়া, ‘ঠিক আরজে না, উপস্থাপনা, আমার ক্যারিয়ার উপস্থাপনা দিয়ে শুরু হয়েছে। আট বছর আগে একটি রেডিও স্টেশনে জয়েন করেছিলাম। তারও এক–দেড় বছর আগে থেকে আমি উপস্থাপনা করি। বলা যায়, বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উপস্থাপিকা হিসেবে আমার ক্যারিয়ার শুরু। তখন আমি দশম শ্রেণি বা এসএসসিতে পড়ি। বিতর্ক করতাম। বিতর্ক করতে করতেই আমাকে উপস্থাপনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথমে প্রতিযোগিতায় প্রযোজক আমাকে বললেন, তুমি ঘণ্টিবাদকের কাজ করবে?

‘বড় মঞ্চের তারকা’য় নুসরাত ফারিয়া

বিতার্কিকের বক্তব্য শেষ করার জন্য তিন-চার মিনিট যাওয়ার পর পর ঘণ্টি বাজাতে হয়। ওই কাজ আমি প্রথম করি। এরপর আমাকে উপস্থাপনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এরপর থেকেই আমি বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ছোট ছোট অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করতে শুরু করি। ২০১৩ সালে আরজে হিসেবে কাজ শুরু করি। একই সঙ্গে টুকটাক মডেলিংও করতাম। বিজ্ঞাপন, ফটোশুট, মাঝেমধ্যে ড্রেসের শুট। এরপর ২০১৫ সাল থেকে সিনেমা শুরু করি।’ একনাগাড়ে বলে গেলেন ফারিয়া।
চলচ্চিত্রে নুসরাত ফারিয়ার প্রথম কাজ কলকাতায়। প্রথম নায়ক অঙ্কুশ। আর শুটিং হয়েছিল লন্ডন। ফারিয়ার কাছে সেই দিনগুলোর কথাই জানতে চাইলেন পূর্ণিমা।

নুসরাত ফারিয়া ও অঙ্কুশ হাজরা। ছবি: সংগৃহীত

তাঁর অনুরোধে গল্প বলতে শুরু করলেন নুসরাত ফারিয়া, ‘লন্ডনে আমরা ৩৫ দিনের মতো ছিলাম। আগেও বিদেশে গিয়েছি কিন্তু এত বেশি দিনের জন্য কখনো থাকা হয়নি। প্রথম ছবিতে আমার সঙ্গে কোনো গার্ডিয়ান যায়নি। তবে আমার সঙ্গে জাজের আবদুল আজিজ ভাইয়ের মেয়ে ছিল। ও থাকার কারণে কিছুটা সাহস পাচ্ছিলাম। তবে ভয় একটু কাজ করছিল। মনে হচ্ছিল, আমি কি ওদের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারব? কাজ করতে পারব? মিশতে পারব? কী খাবার দেবে? সবকিছু মিলিয়ে একটু ভয়েই ছিলাম। তবে সবকিছু ভালোভাবেই শেষ করতে পেরেছি আমরা। এখন ওই সিনেমাটি যখন দেখি, প্রতিটি দৃশ্যের পেছনের গল্প মনে পড়ে যায়। অন্য সিনেমার শুটিংয়ের গল্প আমার মনে নেই। কিন্তু প্রথম সিনেমার গল্পগুলো আমার সব মনে আছে।’

‘বড় মঞ্চের তারকা’য় দিলারা হানিফ পূর্ণিমা

সম্প্রতি প্রথম আলো অনলাইনের আয়োজনে হাতিল নিবেদিত ‘বড় মঞ্চের তারকা’য় দিলারা হানিফ পূর্ণিমার মুখোমুখি হয়েছিলেন নুসরাত ফারিয়া। সে অনুষ্ঠানে ক্যারিয়ার এবং অন্য বিষয়ে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন পূর্ণিমার সঙ্গে। ‘বড় মঞ্চের তারকা’ অনুষ্ঠানের তৃতীয় পর্বে পূর্ণিমার মুখোমুখি হন নুসরাত ফারিয়া। দেশের সীমানা পেরিয়ে ভিনদেশে নিজেদের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন বিভিন্ন অঙ্গনের যেসব তারকা, তাঁদের নিয়ে প্রথম আলো আয়োজন করছে হাতিল নিবেদিত ‘বড় মঞ্চের তারকা’ শিরোনামে নতুন এই অনুষ্ঠান। প্রথম আলো ডটকম, ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে। এ অনুষ্ঠানে প্রতি পর্বেই উঠে আসবে একজন তারকার শুরু থেকে বর্তমান এবং দেশের সীমানা পেরিয়ে তাঁর কাজের পরিধি।