তারকাদের নামী রেস্তোরাঁ

এমনই কিছু বলিউড তারকা আছেন, যাঁরা নামীদামি রেস্তোরাঁর মালিককোলাজ

অভিনয়ের বাইরে একঝাঁক বলিউড তারকা অন্য পেশায় নিজের ভাগ্য পরীক্ষা করেছেন। কেউ খুলে ফেলেছেন ফ্যাশন হাউস, কেউ প্রসাধন সামগ্রীর ব্র্যান্ড। কেউ আবার খাওয়াদাওয়ার জগতে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। বলিউড নায়িকা কঙ্গনা রনৌত মানালিতে খুলতে যাচ্ছেন রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে। এমনই কিছু বলিউড তারকা আছেন, যাঁরা নামীদামি রেস্তোরাঁর মালিক। সেসব তারকার ঝা–চকচকে রেস্তোরাঁর খোঁজ দেওয়া হলো এই প্রতিবেদনে।

মিঠুন চক্রবর্তী
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

মিঠুন চক্রবর্তী
দীর্ঘদিন আগেই হোটেল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বলিউড সুপারস্টার মিঠুন চক্রবর্তী। দক্ষিণ ভারতে তাঁর চেইন হোটেল আছে। এই হোটেলগুলো বেশ জনপ্রিয়। মিঠুনের হোটেলের নাম মোনার্ক হোটেলস। মাসিনাগুড়ি, মাইসোর, উটিতে তাঁর এই হোটেলগুলো অবস্থিত।


শিল্পা শেঠি
শিল্পা শেঠি অভিনয়ের বাইরে নানা ব্যবসায় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। এই বলিউড অভিনেত্রীর রেস্তোরাঁ, স্পা আর পানশালা আছে। মুম্বাইয়ের ওরলি এলাকায় বেস্টিয়ান চেন নামে একটি নতুন রেস্তোরাঁ খুলেছেন তিনি। এই রেস্তোরাঁ থেকে শিল্পা কোটি কোটি রুপি আয় করেন।

শিল্পা শেঠি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজও এই ব্যবসায় নিজের নাম লিখিয়েছেন। এই শ্রীলঙ্কান অভিনেত্রী শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে একটি রেস্তোরাঁ দিয়েছেন। জ্যাকুলিন তাঁর এই রেস্তোরাঁর নাম রেখেছেন কায়মাসূত্র। শুরুর দিকে সেলিব্রেটি শেফ দর্শন মুনীরাম এই রেস্তোরাঁর প্রধান শেফ ছিলেন। শ্রীলঙ্কার সেরা পদগুলো জ্যাকুলিনের এই রেস্তোরাঁতে পাওয়া যায়।

জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ
ইনস্টাগ্রাম

ববি দেওল
বেশ কিছুদিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন ববি দেওল। কারণ, হাতে কোনো কাজ ছিল না তাঁর। তবে রেস্তোরাঁ ব্যবসায় বেশ সফলতা পেয়েছেন এই বলিউড তারকা। একটা নয়, তিনটি রেস্তোরাঁর মালিক তিনি।

ববি দেওল
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

ববির রেস্তোরাঁ সামপ্লেস এলস মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে অবস্থিত। সপরিবার সময় কাটানোর জন্য এটি দারুণ ঠিকানা। ববির এই রেস্তোরাঁর সজ্জা চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। রেস্তোরাঁর প্রতিটি কোণে তাঁর নিজস্ব ভাবনা আছে। চাইনিজ আর ভারতীয় নানা বাহারি পদ এখানে পাওয়া যায়। সামপ্লেস এলসের খাবার খুবই জনপ্রিয়।

সুস্মিতা সেন
ভোজনরসিক বাঙালিদের জন্য সুস্মিতা সেন খুলে ফেলেছেন বাঙালি মাসিস কিচেন নামের একটি রেস্তোরাঁ।

সুস্মিতা সেন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

মুম্বাইয়ের শুধু বাঙালি নন, অবাঙালিরাও এখানে প্রায়ই ভিড় করেন। তাই কবজি ডুবিয়ে লুচি, মাংস, শুক্তো, পোস্ত, চিংড়ির মালাইকারি, ইলিশ পাতুরি, চিতল মাছের মুইঠ্যাসহ আরও নানা বাঙালি পদ খেতে হলে এখানে ঢুঁ মারা যায়। সুম্মিতার এই রেস্তোরাঁ মুম্বাইয়ে খুবই জনপ্রিয়। রেস্তোরাঁ ছাড়া জুয়েলারি ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী। তবে তাঁর মা এই ব্যবসার দেখাশোনা করেন।

আশা ভোসলে
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

আশা ভোসলে
হিন্দি ছবির দুনিয়ায় নামকরা সংগীতশিল্পী আশা ভোসলে অত্যন্ত খাদ্যপ্রেমী। এমনকি তিনি নিজের হাতে রেঁধে খাওয়াতে দারুণ ভালোবাসেন। অবসর পেলেই এই সংগীতশিল্পী ব্যস্ত হয়ে পড়েন হেঁশেলে।

সংগীত দুনিয়ার বাইরে তিনি রসনার দুনিয়ায় পা রেখেছেন অনেক আগেই। শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরে তাঁর একাধিক রেস্তোরাঁ আছে। প্রবাসীদের রসনাকে তৃপ্ত করতে ভারতীয় নানা পদের আয়োজন আছে এই চেন রেস্তোরাঁগুলোতে। দুবাই, কুয়েত, বার্মিংহামে আশার রেস্তোরাঁ আছে। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার, এসব রেস্তোরাঁর নাম আশা।

সুনীল শেঠি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

সুনীল শেঠি
বলিউডে ‘আন্না’ নামে পরিচিত সুনীল শেঠি। তিনি মুম্বাইয়ের মিসচিফ রেস্টুরেন্ট ও এইচটুও পানশালার মালিক। এই বলিউড অভিনেতা জিমও চালান। এ ছাড়া তাঁর পপকর্ন এন্টারটেনমেন্ট নামের একটি প্রযোজনা সংস্থা আছে।


দিনো মারিয়া
দিনো মারিয়া অভিনেতা হিসেবে অতটা সফল নন। তবে ইদানীং নানা ওয়েব সিরিজে তাঁকে দেখা যাচ্ছে। দিনো রেস্তোরাঁর ব্যবসায় বেশ সফলতা পেয়েছেন। দেশজুড়ে তাঁর চেইন রেস্তোরাঁ আছে। দিনোর এই রেস্তোরাঁর নাম ক্রেপ স্টেশন ক্যাফে। এখানে লোভনীয় ওয়েফেলস, প্যান কেক এবং এগ বেনডিক্ট পাওয়া যায়।

অর্জুন রামপাল
ছবি:ইনস্টাগ্রাম

অর্জুন রামপাল
অভিনেতা অর্জুন রামপালের রেস্তোরাঁ ল্যাপ দিল্লিতে অবস্থিত। তাঁর এই রেস্তোরাঁ দিল্লির অভিজাতদের সেরা ঠিকানা। ল্যাপ জনপ্রিয় তাঁর রুচিশীল অন্দরসজ্জার জন্য।


চাংকি পান্ডে
চাংকি পান্ডে রেস্তোরাঁ ব্যবসায় বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। মুম্বাইতে তাঁর রেস্তোরাঁর নাম এলবো রুম। রেস্তোরাঁটি ভোজনরসিকদের প্রিয় ঠিকানা।