দিলীপের অটোগ্রাফের জন্য ৪৬ বছর

তাঁর একটা অটোগ্রাফের জন্য হাপিত্যেশ করে মরে হাজারো ভক্ত। সেই অমিতাভ বচ্চন একটা অটোগ্রাফের জন্য ৪৬ বছর লেগে ছিলেন। কার অটোগ্রাফ জানেন? সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের।

একটি স্মৃতিচারণায় অমিতাভ বচ্চন জানান, প্রথম যখন চেষ্টা করেন, তখন তিনি বিখ্যাত কেউ নন। ১৯৬০ সালে মা-বাবার সঙ্গে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে গিয়েছেন, গিয়ে শোনেন সবান্ধবে দিলীপ কুমারও এসেছেন। প্রিয় নায়কের একটা অটোগ্রাফের জন্য ছুটে গেলেন অমিতাভ। কিন্তু অটোগ্রাফ নেওয়া তো দূরের কথা, ভক্তদের ভিড়ে কাছেই ঘেঁষতে পারলেন না।

‘শক্তি’ ছবিতে দিলীপ কুমার ও অমিতাভ বচ্চন। সংগৃহীত

কিছুকাল পরে এল দ্বিতীয় সুযোগ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর দেওয়া একটা পার্টিতে হাজির দিলীপ কুমার, দেব আনন্দ ও রাজ কাপুর । কিন্তু সেই পার্টিতেও প্রিয় তারকার অটোগ্রাফ নিতে পারলেন না অমিতাভ ।

১৯৮২ সালে ‘শক্তি’ ছবিতে দিলীপ কুমারের সঙ্গে একত্রে কাজ করার সুযোগ এল। এমনই কপাল, সেবারও নানা কারণে তাঁর অটোগ্রাফ সংগ্রহে ব্যর্থ হলেন অমিতাভ।

‘শক্তি’ ছবিতে অমিতাভ বচ্চন ও দিলীপ কুমার। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে ২০০৫ সালে তাঁর ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল। রানী মুখার্জির সঙ্গে ‘ব্ল্যাক’ সিনেমায় ছিলেন অমিতাভ। রানীর আমন্ত্রণে স্ত্রী সায়রা বানুকে নিয়ে ছবি দেখতে এসেছিলেন দিলীপ কুমার। ছবি দেখে আপ্লুত দিলীপ কুমার অমিতাভকে একটা দীর্ঘ চিঠি লেখেন। তাতে অনেক প্রশংসাবাক্য থাকলেও চিঠির শেষে দিলীপ কুমারের সই দেখেই খুশিতে আত্মহারা অমিতাভ বচ্চন। দিলীপ কুমার ছিলেন নায়কদের নায়ক। সূত্র: আনন্দবাজার

অমিতাভ বচ্চন ও দিলীপ কুমার