নিউইয়র্কে বসে বিয়েতে রাজি হয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

১৩ বছর আগের এক ২০ এপ্রিলে ঐশ্বরিয়া রাই ও অভিষেক বচ্চন ধুমধাম আয়োজনে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন। তারও কিছুদিন আগে, ২০০৭ সালের জানুয়ারির ১৩ তারিখ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের এক শীতের বিকেল। সেই বিকেলও খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সময় অভিষেক বচ্চনের জীবনে। সেদিনই তিনি শীতে জমে যাওয়া এক বারান্দায় হাঁটু গেঁড়ে ঐশ্বরিয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আমাকে বিয়ে করবে?’ আর ঐশ্বরিয়া দিয়েছিলেন সবুজ সংকেত।

২০১৭ সালের সেই দিনে অভিষেক টুইটারে লিখেছিলেন, ‘আজ (২০ এপ্রিল) সেই দিন। ১০ বছর আগে এই দিনে পৃথিবীর সবচেয়ে রূপবতী–গুণবতী নারী, নিউইয়র্কের ঠান্ডায় জমে যাওয়া এক বিকেলে আমায় “হ্যাঁ”বলেছিল।’ ২০০৭ সালের সেই মুহূর্ত নিয়ে ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন এভাবে, ‘সেই সময় যোধা আকবর ছবির শুটিং চলছিল। আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। নিউইয়র্ক থেকে ফিরে বাকি থাকা গানের শুটে যোগ দিলাম। “খাজা মেরে খাজা” গানের শুটিং। আশুতোষ (ছবির পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকড়) বলল, “আরে, তোমার নাকি বাগদান হয়ে গেছে।” আমি তো চুপ। হৃতিক এসে আমাকে জড়িয়ে ধরল। আমার বউয়ের সাজের সেই অনুভূতি গানের সঙ্গে ক্যামেরায় ধরা পড়ল। পর্দায় যেটা দেখা গেল, সেটা অভিনয় নয়, আসল। আমার ভেতরকার সত্যিকারের অনুভব।’

মেয়ে আরাধ্যকে নিয়ে ঐশ্বরিয়া রাই ও অভিষেক বচ্চন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মেয়ে আরাধ্যকে নিয়ে ঐশ্বরিয়া রাই ও অভিষেক বচ্চন। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

২০১১ সালে এই দম্পতি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। বিয়ের পর বলিউডের চেয়ে সংসারই বেশি গুরুত্ব পায় এই বিশ্বসুন্দরীর কাছে। এর ফাঁকে ফাঁকেও কিছু ছবি উপহার দিয়েছেন। তবে আগের মতো জ্বলে উঠতে পারেননি।

২০০৭ সালে মুম্বাইয়ে বচ্চনবাড়িতে অত্যন্ত গোপনীয়তা ও সতর্কতার ভেতর দুই পরিবার, নিকটাত্মীয় ও বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে বিয়ে হয় ঐশ্বরিয়া ও অভিষেকের। এই বিয়ে গণমাধ্যমের কাছে ‘রাজকীয় বিয়ে’ উপাধি পেয়ে বলিউডের ইতিহাসের অংশ হয়ে যায়।

অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার বিয়ে নিয়ে কম আলোচনা হয়নি গণমাধ্যমে। তবে অভিষেক বলেন, ২০০৬ সালে ‘উমরাও জান’ ছবির সেটে তিনি ঐশ্বরিয়ার প্রেমে পড়েন। ঠিক করেন, এই নারীর সঙ্গেই বাকি জীবন কাটাবেন। তাই বিয়ের পর ফিল্ম কোম্পানিয়নকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ঐশ্বরিয়া আমার জীবনের সেরা অর্জন।’

অবশ্য আরাধ্য জন্মের পর এই বিবৃতি বদলে গেছে। তিনি বলেছেন, তাঁদের দুজনেরই চোখের মণি এখন এই কন্যা।