নিজের জন্য সাজলেন মিমি

মিমি চক্রবর্তীছবি: ইনস্টাগ্রাম

বরাবরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব পশ্চিম বাংলার অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন ছবি ও ভিডিও দিয়ে নিজের অবস্থান জানান দেন। নিজেকে নতুন নতুনভাবে উপস্থাপন করেন। সম্প্রতি তেমনই কিছু নতুন লুকে নিজেকে উপস্থাপন করলেন তিনি।

মিমি চক্রবর্তী
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

আগে চুল ছিল বেশ লম্বা। সম্প্রতি নিজেই তাতে কাঁচি চালিয়েছেন। কপালের অংশের চুল ছেঁটে ছোট করে ফেলেছেন। নতুন এই হেয়ারস্টাইলের ছবি নেটমাধ্যমে অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন মিমি। পরনে জিনস, লাল টপ আর কানে গোল দুল। ছবিগুলো ইতিমধ্যে দেড় লাখের বেশি মানুষ পছন্দ করেছেন।

স্বভাবতই চলচ্চিত্রের তারকাদের নতুন ‘লুক’ দেখলেই ভক্তদের মনে একটি প্রশ্ন আসে, নতুন কোনো সিনেমা আসছে কি? মিমির ক্ষেত্রেও তা–ই ঘটেছে। নতুন ছবিগুলোর নিচে অনেকেই জানতে চেয়েছেন, নতুন কোনো ছবি কি করতে যাচ্ছেন? জবাব দেননি মিমি। রহস্যটা থেকেই গেল।

মিমি চক্রবর্তী
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

শুধু ছবি নয়, নতুন কয়েকটা ভিডিও–ও আপ করেছেন মিমি। একটা ভিডিওতে চারপাশ অন্ধকার। তার মধ্যে ভেসে উঠছে মিমির মুখ। তার ওপরে ভেসে উঠছে কয়েকটি প্রশ্ন। নেপথ্যে হালকা সুর। মন খারাপ করা একটা আবহ। কেন? হেতু কী? উত্তরটা জানা গেল তাঁর মন্তব্যেই। কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য নয়, বরং কষ্ট ভাগ করে নেওয়ার জন্য এহেন ভিডিও।

মিমি লিখেছেন, ‘কেউ যদি আপনার কাছে জানান যে তিনি ভালো নেই, তবে সে কথা উড়িয়ে দেবেন না। তাঁর কথার গুরুত্ব দিন। তাঁকে বোঝান। “এটা সাময়িক, জীবনের একটি সময়মাত্র। কেটে যাবে” বা “তুমি বেশি ভাবছ”—এসব কথা না বলে তাঁর কথা শুনুন। পাশে থাকার ভরসা দিন।’ উদার হওয়ার পরামর্শ দিলেন মিমি চক্রবর্তী। পরামর্শ দিলেন কাছের মানুষের মনের খবর নিতে। এড়িয়ে না যেতে।

মিমি চক্রবর্তী
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

শুধু কথায় নয়, কাজেও করোনাকালে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন মিমি। অর্থসাহায্য থেকে শুরু করে হাসপাতালে শয্যা ও অক্সিজেনের বন্দোবস্ত করেছেন তৃণমূল সাংসদ। নিজের নির্বাচনী এলাকা যাদবপুরের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ সাহায্যকারী নম্বর চালু করেছিলেন তিনি। লকডাউনে কী কী করলে ভালো থাকা যায়, সে পরামর্শও দিলেন।

মিমি চক্রবর্তী
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

মিমির পরামর্শ, লকডাউনে প্রতিটি দিন ইতিবাচক মন নিয়ে কাটান। এ জন্য সবাইকে মজার সিনেমা বা কার্টুন দেখার কথা বলেছেন। মন খারাপ থাকলে এ ধরনের ছবি তিনি নিজে দেখেন, এ কথাও জানাতে ভোলেননি মিমি।

অনেকেই ডায়েরি লিখতে ভালোবাসেন। তাঁদের উদ্দেশে ইনস্টাগ্রামে বলেছেন, দুশ্চিন্তার কারণ লিখে ফেলুন। এতে অর্ধেক সমস্যার সমাধান। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি। রয়েছে ভালো গান শোনা, বই পড়ার অভ্যাস।

মিমি চক্রবর্তী
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

নিয়মিত যোগব্যায়াম বা শরীরচর্চা করলেও শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটে। দুশ্চিন্তা কমে আপনা থেকেই। পাশাপাশি ভ্রান্ত খবর থেকে দূরে থাকতে বলেছেন বারবার। একই সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, একটি গাছ একটি প্রাণ। মিমির অনুরোধ, ‘সবাই নিজের বাড়িতে গাছ লাগিয়ে নিয়মিত পরিচর্যা করুন। সময়ও কাটবে, বাড়ি ভরে উঠবে প্রাকৃতিক অক্সিজেনে।’