নিজের মন্দ সময় নিয়ে কিয়ারা

কিয়ারা আদভানি

‘কবির সিং’ ছবির পর বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানির ভাগ্যের চাকা অনেকটাই ঘুরে যায়। ‘শেরশাহ’ ছবির পর তাঁর সাফল্য আরও উচ্চতায় পৌঁছে যায়। এখন তাঁর বাসার সামনে প্রযোজকদের লম্বা লাইন। তবে একসময় কিয়ারাকে একাধিক প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। আর তা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে নানান কথা বললেন এই বলিউড নায়িকা।
কিয়ারা ওই সাক্ষাৎকারে প্রত্যাখ্যান প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘বাদ পড়া আর প্রত্যাখ্যান জীবনের একটি অংশ। প্রতে৵ক অভিনয়শিল্পীকে তাঁর নিজের ক্যারিয়ারে কখনো না কখনো প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হতে হয়েছে। “ফাগলি” ছবির পর একাধিকবার আমাকে ছবি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

আমি মনে করি, সব বিষয়ের প্রতি মানুষের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা উচিত। আপনাকে কোনো একটা ছবি থেকে বাদ দেওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনার ক্যারিয়ার একদমই শেষ হয়ে গেছে। প্রত্যাখ্যানকে ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকে গ্রহণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

সিদ্ধার্থ মালহোত্রা আর কিয়ারা আদভানি অভিনীত ‘শেরশাহ’

এই বলিউড রূপসী আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি জীবন এক সফর, এখানে ভালো দিন আসবে, আবার মন্দ দিনও আসবে। একসময় আমি ক্রমাগত ছবি থেকে বাদ পড়ছিলাম। আমি মনের মতো চরিত্র পাচ্ছিলাম না। বারবার অডিশন দিচ্ছিলাম। আর আমাকে বাদ দেওয়া হচ্ছিল। সে একটি মন্দ সময় গেছে। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। ধোনির বায়োপিক করার পর সবকিছু বদলে গেল। আজ আমি এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি।’

বলিউডে কিয়ারার তথাকথিত কোনো ‘গডফাদার’ নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো গডফাদার আপনার সফলতার গ্যারান্টি দেবেন না। নিজের পথ নিজেকেই তৈরি করতে হবে। আমি তো মনেপ্রাণে ওপরওয়ালাকেই আমার গডফাদার বলে বিশ্বাস করি। আর এই বিশ্বাস আমি অত্যন্ত গভীরভাবে অন্তর থেকে করি। আপনি আজ যে জায়গায় পৌঁছেছেন, তার পেছনে আছে আপনার প্রতিভা আর যোগ্যতা।’
কিয়ারার ঝুলিতে আছে ‘যুগ যুগ জিও’, ‘ভুল ভুলাইয়া টু’, ‘আরসি-ফিফটিন’-এর মতো ছবি।

কিয়ারা আদভানি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া