প্রতিনিয়ত সন্তানদের কাছে শেখেন কাজল

কাজল জানান, তিনি প্রতিনিয়ত সন্তানদের কাছ থেকে শেখেন। কাজলকে ইনস্টাগ্রাম চালানো শিখিয়েছে তাঁর মেয়ে নাইসা। আর সন্তানদের কী করে বড় করতে হয়, তাঁর টোটকা দিলেন দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে যাওয়া কারিনা কাপুর খানকে।

বলিউড তারকা হওয়ার পাশাপাশি কাজলের বড় পরিচয়, তিনি দুই সন্তানের মা। তাঁর মেয়ে নাইসার বয়স ১৭ বছর আর ছেলে যুগের ১০। ছোট্ট তৈমুরের মা আরেক বলিউড তারকা ও দ্বিতীয় সন্তানের মা হতে যাওয়া কারিনা কাপুর খানকে কাজল জানিয়েছেন ‘মা’ হওয়ার নানা টোটকা।

কাজল
ইনস্টাগ্রাম

কাজল বলেন, ‘আমার মা খুব কড়া শাসনে আমাদের মানুষ করেছেন। তবে আমি তেমন কড়া মা নই। যদিও মাঝেমধ্যে বেলন যে হাতে তুলি না, তা নয়। তবে আমার মনে হয়, মা সন্তানের সম্পর্ক সহজ। আর টক ঝাল মিষ্টি—মিশ্র স্বাদের।’ কাজল জানান, তিনি প্রতিনিয়ত সন্তানদের কাছ থেকে শেখেন। কাজলকে ইনস্টাগ্রাম চালানো শিখিয়েছে তাঁর মেয়ে নাইসা। মাকে নাকি এই মেয়ে বলেছে, ‘সোনম কাপুরের ইনস্টাগ্রাম দেখে শেখো। কী শৈল্পিক! তুমি এ রকম সব ছবি আপলোড করবা।’ বাবা হিসেবে অজয় দেবগণ নাকি এক শতে এক শ। সন্তানদের সবকিছু জানেন তিনি। সন্তানেরাও নাকি বাবার সঙ্গে দিনরাত গুটুগুটু করে গল্প করে। আর কাজল গেলেই নাকি চুপ হয়ে যায়।

কাজল জানান, তিনি প্রতিনিয়ত সন্তানদের কাছ থেকে শেখেন। কাজলকে ইনস্টাগ্রাম চালানো শিখিয়েছে তাঁর মেয়ে নাইসা। মাকে নাকি এই মেয়ে বলেছে, ‘সোনম কাপুরের ইনস্টাগ্রাম দেখে শেখো। কী শৈল্পিক! তুমি এ রকম সব ছবি আপলোড করবা।’

ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে শেখার আরও উদাহরণ দিয়েছেন কাজল। একবার নাকি কাজল তাঁর মেয়েকে তৈরি হয়ে নিতে বলেন। তখন নাইসা জানাল, তার দাওয়াত খেতে, পার্টিতে যেতে ভালো লাগে না। তখন কাজল বকা দিয়ে মেয়েকে কোনো কথা না বলে দ্রুত তৈরি হয়ে আসতে বলেন। সেই মুহূর্তে কাজলের কোলে বসে থাকা যুগ বলেছিল, ‘মা, তুমি তো আপুকে সত্যি কথা বলার জন্য বকা দিলে। ও তো মিথ্যে কথাও বলতে পারত। এরপর যদি ও বকা খাওয়ার ভয়ে মিথ্যে কথা বলে, তাহলে কি খুশি হও?’ এ কথা নাকি কাজলকে অনেকখানি বদলে দিয়েছে।

বাবা ও মা—দুই সূত্রেই কাজলেরা তিন পুরুষ ধরে বনেদি ফিল্মি পরিবার। বাবা সোমু মুখার্জি ছিলেন একাধারে প্রযোজক, গল্পকার ও পরিচালক। অন্যদিকে, মা তানুজা হিন্দি ছবির একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাই স্কুলের গণ্ডি না পেরোতেই মাত্র ১৬ বছর বয়সেই কাজলের অভিষেক বলিউড ছবিতে। ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছবি বেখুদি খুব একটা সাড়া জাগাতে না পারলেও পরের বছরেই মুক্তি পায় আব্বাস-মস্তানের বাজিগর। সুপারহিট এই ছবিটিতে তিনি অভিনয় করেছিলেন শাহরুখের বিপরীতে। আর এই ছবির জনপ্রিয়তাই কাজল-শাহরুখের ক্যারিয়ারের বাঁক হিসেবে ধরা হয়। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় এই জুটির আরেকটি সুপারহিট ছবি দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে। রাজ-সিমরান জুটির এই প্রেমকাহিনি মুক্তির পর ভেঙে দেয় বলিউড বক্স অফিসের সব রেকর্ড।

কাজল শুধু ছবি দিয়েই কোটি দর্শকের মন জয় করেননি বরং সংসার জীবনেও হয়েছেন সফল। স্বতঃস্ফূর্ত, সাহসী, পর্দায়-সাবলীল কাজল ছবির চেয়েও বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন নিজের সংসারকে, নিজের সন্তানদের।