বরের খবর নেই, বিয়ের পরিকল্পনা সারা

পাত্র এখনো ঠিক হয়নি। কবে বিয়ে করবেন, তা–ও জানা নেই। তবে নিজের বিয়ে নিয়ে নানান পরিকল্পনা করে ফেলেছেন শ্রীদেবীকন্যা জাহ্নবী কাপুর।

জাহ্নবী কাপুর

মাঝে বলিউড নায়ক কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নানান গুঞ্জন ছিল। তবে কয়েক মাস আগে শোনা যায়, তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গেছে। গুঞ্জন যে দোস্তানা টু ছবি থেকে কার্তিক বাদ পড়ার পেছনে এ ভাঙন কিছুটা দায়ী। এ মুহূর্তে জাহ্নবীকে নিয়ে নতুন কোনো প্রেমের কথাও শোনা যায়নি। তাতে কি, নিজের বিয়ে নিয়ে জল্পনাকল্পনা করতে তো আর দোষ নেই। এক সাক্ষাৎকারে ঠিক তাই করেছেন জাহ্নবী।

জাহ্নবীকে নিয়ে নতুন কোনো প্রেমের কথা শোনা যায়নি

হবু বরকে বুদ্ধিমান হতে হবে, শীর্ষস্থানীয় এক পত্রিকাকে বলেছেন এই বলিউড নায়িকা। এখনো সে রকম কারুর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়নি। আর বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পর্কে জাহ্নবী বলেছেন, ‘আমি সাদামাটাভাবে বিয়েটা করতে চাই। আর একদম প্রাথমিক রীতিনীতি মেনে বিয়ে করব। দুই দিনের মধ্যে বিয়ের সমগ্র আনুষ্ঠানিকতা সেরে ফেলতে চাই।’ কোথায় কোন অনুষ্ঠান হবে, তা–ও স্থির করে ফেলেছেন শ্রীদেবীকন্যা, ‘লঞ্চে ব্যাচেলর পার্টি করব। আর তিরুপতিতে বিয়ে করার ইচ্ছা আছে।’ বিয়েপূর্ব নানান অনুষ্ঠানের জন্য মা শ্রীদেবীর পিতৃভিটে মায়লাপুরকে বেছে নিয়েছেন জাহ্নবী। মেহেদি আর সংগীত অনুষ্ঠানের দিন মায়ের পিতৃভিটেকে বেল ফুলের সৌরভে আর মোমবাতির আলোয় ঝলমলে করে তুলতে চান জাহ্নবী। আর বিয়ের জন্য বেছে নিতে চান দক্ষিণি জমকালো শাড়ি। তবে রিসেপশন নিয়ে এখনো তাঁর কোনো পরিকল্পনা নেই। জাহ্নবী চান বিয়ের সব ঝক্কি দিদি অংশুলা সামলাক। শ্রীদেবীর মৃত্যুর আগপর্যন্ত বিমাতার সন্তান অর্জুন কাপুর আর অংশুলার সঙ্গে জাহ্নবী আর তাঁর বোন খুশির খুব একটা স্বাভাবিক সম্পর্ক ছিল না। তবে এখন তাঁদের সম্পর্কের বরফ গলে পানি। আর এ ব্যাপারে অর্জুন এবং জাহ্নবী দুজনেই খোলামেলা কথা বলেছেন।

মেহেদি আর সংগীত অনুষ্ঠানের দিন মায়ের পিতৃভিটেকে বেল ফুলের সৌরভ আর মোমবাতির আলোয় ঝলমলে করে তুলতে চান জাহ্নবী
ইনস্টাগ্রাম

এক সাক্ষাৎকারে জাহ্নবী আর খুশির সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে অর্জুন বলেছেন, ‘আমাদের সম্পর্কের মধ্যে এক অদ্ভুত নীরবতা ছিল। আমাদের দেখা হতো কিন্তু কথাবার্তা হতো না।’ জাহ্নবী এ ব্যাপারে বলেছেন, ‘পরিবার থেকে অনেক কিছু আমি শিখেছি। আমাদের একই বাবা। আমাদের শরীরে একই রক্ত। আর তাই আমাদের একে অপরের থেকে কেউ আলাদা করতে পারবে না। এমন নয় যে আমরা রোজ একে অপরের বাড়িতে যাই, একে অপরের জীবনের ছোট ছোট বিষয় সম্পর্কে জানি। কিন্তু অর্জুন ভাইয়া আর অংশুলা দিদির সঙ্গে আমি অনেক সহজ বোধ করি। আর এটা বলতে পারি যে যা কিছুই হোক না কেন, এরা দুজনে সব সময় আমাদের পাশে থাকবে। আর এ কথা আমি অন্য কারুর সম্পর্কে বলতে পারি না।’