মন খারাপ হলে যা করেন কৃতি

কৃতি শ্যাননইনস্টাগ্রাম

সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রয়াণের পর ইনস্টাগ্রামে যাঁদের অনুসারী বেড়ে গেছে, কৃতি শ্যানন তাঁদের অন্যতম। সুশান্তর মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে কৃতির পোস্টগুলো সুশান্ত অনুরাগীদের হৃদয় কেড়েছিল। সুশান্ত চলেই গেছেন, তাঁর ভক্তরা হয়ে গেছেন কৃতির অনুসারী।

সুশান্তর শেষ সিনেমা `দিল বেচারা' দেখে কৃতি শ্যানন যে পোস্টটি করেছিলেন, সেটি দেখেছেন ৭৬ লাখ মানুষ। সুশান্তর মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে কৃতি যে পোস্টটি দিয়েছিলেন, সেটি রীতিমতো ঝড় তুলেছিল মুম্বাইয়ে। সেখানে লাইক দিয়েছেন ৫৪ লাখ মানুষ। তারপর থেকে বড় বড় ছবিতে ডাক পাচ্ছেন কৃতি। তাঁর যেন গতি বেড়ে গেছে। অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্য, যোগব্যায়ামের উপকারিতা, ফ্যাশন নিয়ে জানতে কৃতির ইনস্টাগ্রাম এক অন্য রকম জায়গা। চারপাশে যা কিছু ঘটে যাক, এক দিনও ব্যায়াম না করে থাকেন না কৃতি। অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্য মোটেও কাজের জিনিস নয়, এ কথা মানতে নারাজ কৃতি। মন খারাপ, বিষণ্নতায় ডুব দিলে কৃতি মোবাইলে খুঁজে বেড়ান জুতসই ‘মোটিভেশনাল স্পিচ’। তারপর ভেসে ওঠেন স্বাভাবিক জীবনের ছন্দে। মানসিক স্বাস্থ্য তাঁর কাছে শারীরিকভাবে ভালো থাকার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ব্যায়ামের ছবি পোস্ট করে কৃতি লিখেছিলেন, ‘শরীরের যত্ন নিন। শরীর আপনার যত্ন নেবে।’

কৃতি শ্যানন
ইনস্টাগ্রাম

মন ভালো রাখার সঙ্গে ফ্যাশনের অদ্ভুত এক যোগ খুঁজে পেয়েছেন কৃতি। মন বেশি খারাপ হলে কৃতি কী করেন? চুলে কাঁচি চালান। নতুন হেয়ার কাটে তাঁর মনটাও বদলে দেয়। মাঝেমধ্যে ‘উল্টোপাল্টা’ রঙে, যেমন কালো বা সবুজ বা বেগুনি লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙান। রাতের পার্টিতে স্মোকি চোখ বানান, মাঝেমধ্যে চোখের ওপর ঝিলমিলে গ্লিটার মেখে রাখেন। রাতে সেগুলো জ্বলজ্বল করে জ্বলে আর কৃতির মন খারাপ মিলিয়ে যায় অন্ধকারে। এসব কৃতির মন ভালো করার টনিক।

কৃতি শ্যানন
ইনস্টাগ্রাম