মাদক কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যাচ্ছেন সারা ও রাকুল

বলিউডের মাদক সাম্রাজ্য আবিষ্কার করতে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) কোমর বেঁধে নেমেছে। মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে রিয়া চক্রবর্তী, শৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওন্তসহ মাদকের সঙ্গে জড়িত অনেক লোককে গ্রেপ্তার করেছে তারা। আশঙ্কা, বলিউডের অনেক বড় বড় তারকারও গোমর ফাঁস করে দেবে এই সংস্থা।

মাদক কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যাচ্ছেন সারা ও রাকুলকোলাজ: আমিনুল ইসলাম

বলিউডের মাদক সাম্রাজ্য আবিষ্কার করতে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি) কোমর বেঁধে নেমেছে। মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে রিয়া চক্রবর্তী, শৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওন্তসহ মাদকের সঙ্গে জড়িত অনেক লোককে গ্রেপ্তার করেছে তারা। আশঙ্কা, বলিউডের অনেক বড় বড় তারকারও গোমর ফাঁস করে দেবে এই সংস্থা। ইতিমধ্যে সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রেমিকা বলিউড অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কাছে বেশ কয়েকজনের নাম নিয়েছেন, যাঁদের সংশ্লিষ্টতা আছে মাদকের সঙ্গে। এর মধ্যে আছেন অভিনেত্রী সারা আলী খান, রাকুল প্রীত সিং, ডিজাইনার সিমোন খামবাটা, পরিচালক মুকেশ ছাবড়া। জানা গেছে, সারা আলী খান, রাকুল প্রীত সিং ও সিমোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য গতকাল সমন পাঠানো হয়েছে।

সারা আলী খান
ইনস্টাগ্রাম

এ ছাড়া এসেছে আরও ২৫ জন বলিউড তারকার নাম। শিগগিরই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো তাঁদের মুখোশ খুলে দেবে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত চলাকালীন মাদকের সঙ্গে বলিউড তারকাদের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসে। সেই সূত্র ধরে রিয়া চক্রবর্তীসহ আরও অনেককে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো। জানা গেছে, মাদকের সঙ্গে যুক্ত বলিউডের বড় বড় রুই–কাতলা। এবার নাকি তাঁদের মুখোশও খুলবে সংস্থাটি। ইতিমধ্যে সাইফ আলী খানের মেয়ে সারা, রাকুল প্রীত সিং ও সিমোন জেরার মুখে পড়েছেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর তদন্তে উঠে এসেছে, বাঙালি অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী মাদক সরবরাহকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর মায়ের ফোন ব্যবহার করতেন। এই অ্যাজেন্সি রিয়ার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে একটি মুঠোফোন আর একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য থেকে কিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের নাম পাওয়া গেছে। যে গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে রিয়ার মাদক নিয়ে নানা কথাবার্তা হতো।

রাকুল প্রীত সিং
ইনস্টাগ্রাম
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর তদন্তে উঠে এসেছে, বাঙালি অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী মাদক সরবরাহকারীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর মায়ের ফোন ব্যবহার করতেন। এই অ্যাজেন্সি রিয়ার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে একটি মুঠোফোন আর একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করেছে। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য থেকে কিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের নাম পাওয়া গেছে। যে গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে রিয়ার মাদক নিয়ে নানা কথাবার্তা হতো।

রিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর কর্মকর্তাদের দেওয়া বয়ানে স্বীকার করেছেন যে তিনি সুশান্তকে মাদক দিতেন এবং সুশান্তের আর্থিক দিক তিনি দেখাশোনা করতেন। রিয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর কর্মকর্তাদের আগেও জানিয়েছিলেন যে ‘কেদারনাথ’ ছবির সেট থেকে সুশান্ত ড্রাগ নেওয়া শুরু করেন। এই বলিউড তারকার বক্তব্য, এই ছবির অনেক অভিনয়শিল্পী ড্রাগ নিতেন। রিয়া দাবি করেছিলেন যে সারা আলী খানও সুশান্তের মাদক সেবনের সঙ্গী ছিলেন।

রিয়া চক্রবর্তী
ইনস্টাগ্রাম

জেরায় রিয়া বলিউডের বেশ কিছু তারকার নাম নিয়েছেন। এসব তারকা মাদক কিনতেন ও সেবন করতেন। রিয়া আরও জানিয়েছেন, এসব প্রতিষ্ঠিত তারকারা সুশান্তের লোনাভোলা খামার বাড়িতে আসা–যাওয়া করতেন।

রিয়া ও তাঁর ভাই শৌভিক কেউই জামিন পাননি। আদালত এই মামলায় অভিযুক্ত আবদুল বাসেত, জায়েদ বিলাত্রা, স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওয়ন্তের জামিন আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে।