মেকআপ কেনার দরকার হয় না ক্যাটরিনার

ক্যাটরিনা কাইফইনস্টাগ্রাম

অন্য বলিউড তারকাদের তুলনায় ক্যাটরিনা কাইফের খরচ কম। কারণ, ১৫ বছর ধরে নিজের মেকআপ নিজেই করেন ক্যাটরিনা। আর এখন খরচ আরও এক দফা কমেছে। কেননা, এখন আর আলাদা করে মেকআপ কেনার দরকার হয় না ক্যাটরিনার। নিজের মেকআপ ব্র্যান্ড ‘কে বাই ক্যাটরিনা’ থেকেই মেকআপ করছেন তিনি। সম্প্রতি এই বলিউড তারকা তাঁর মেকআপ, লুক ও মেকআপ ব্র্যান্ড নিয়ে কথা বলেছেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।

ক্যাটরিনা কাইফ
ইনস্টাগ্রাম

বলিউডে পথচলার শুরু থেকেই নিজের মেকআপ আর লুক নিয়ে সচেতন ছিলেন ক্যাটরিনা। তাঁর ভাষায়, ‘সবাই বলছিল, তোমাকে অমুকের মতো দেখাতে হবে। সাজপোশাক হতে হবে তমুকের মতো। কিন্তু আমি তো অন্য কেউ নই। অন্য কেউ হতেও চাইনি। তাই শুরু থেকেই নিজের মতো করে নিজের মেকআপ করেছি। আমার কেশসজ্জা আর মেকআপের দল ছিল না বা নেই—তা নয়। কিন্তু বেশির ভাগ সময়ে তাঁদের হাত গুটিয়ে বসে থাকা বা টুকটাক নির্দেশনা দেওয়া ছাড়া কিছু করার ছিল না। তবে শুরুতে আমি তাঁদের কাছ থেকেই টুকটাক টিপস নিয়েছি। পরে নিজের মতো করে প্রয়োগ করেছি। এ জন্যই আমি ভারতীয় উপাদানে তৈরি নিজের মেকআপ ব্র্যান্ড বাজারে আনতে পেরেছি। কারণ, মেকআপ বিষয়টা আমি বুঝি।’

ক্যাটরিনা কাইফ
ইনস্টাগ্রাম

ক্যাটরিনা জানান, ‘শিলা কি জাওয়ানি’, ‘চিকনি চামেলি’র মতো আইকনিক আইটেম গান ছাড়াও জাব তাক হ্যায় জান, এক থা টাইগার, জিরো সিনেমায় নিজের মেকআপ নিজেই করেছেন তিনি।

ক্যাটরিনা জানান, ছবি শেয়ারের সাইট ইনস্টাগ্রাম জনপ্রিয় হওয়ার পর থেকে কমবেশি সবারই ব্যক্তিগত মেকআপ আর্টিস্ট আর আলোকচিত্রী আছে। কেননা, ইনস্টাগ্রাম একটা ‘পারফেকশনিস্ট প্লেস’। এই বলিউড তারকার ভাষায়, ‘ইনস্টাগ্রামে ফ্যাশন আইকনদের আইডি ঘুরে দেখলেই বোঝা যাবে, ফ্যাশনের ক্ষেত্রে এখন কোন ট্রেন্ড চলছে। বিষয়টা ভালো। কিন্তু ইনস্টাগ্রামকে আপনি ব্যক্তির জীবনের প্রতিচ্ছবি বলে বিশ্বাস করবেন না। ইনস্টাগ্রামে যা দেখেন, তা সত্যি নয়। এখানে “ইন বিটুইন” কিছু নেই। আগের বা পরের গল্প নেই। পারফেক্ট মেকআপ আর লাইটে, পারফেক্ট পোজে উঁচুগ্রামে সম্পাদিত ছবিকে সত্যিকারের জীবন বলে ভাববেন না।’

ক্যাটরিনা কাইফ
ইনস্টাগ্রাম
ইনস্টাগ্রামে যা দেখেন, তা সত্যি নয়। এখানে “ইন বিটুইন” কিছু নেই। আগের বা পরের গল্প নেই। পারফেক্ট মেকআপ আর লাইটে, পারফেক্ট পোজে উঁচুগ্রামে সম্পাদিত ছবিকে সত্যিকারের জীবন বলে ভাববেন না।’