যৌন হয়রানির মিথ্যা মামলার জন্য ফেঁসে যেতে পারেন পায়েল

পায়েল ঘোষ
ইনস্টাগ্রাম থেকে

একটি নয়, ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুরাগ কশ্যপের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিলেন বাঙালি অভিনয়শিল্পী পায়েল ঘোষ। একটি ধর্ষণ মামলা, অন্যটি মাদক নেওয়ার জন্য। এর একটিও ধোপে টিকছে না। গত ১৬ সেপ্টেম্বর টুইটারে অনুরাগের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন পায়েল। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ট্যাগ করেন। এরপর মুম্বাইয়ের আন্ধেরির ভারসোভা থানায় ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির সাধারণ অভিযোগও (এফআইআর) দায়ের করেন।

পায়েলের দাবি, ২০১৩ সালে তিনি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছিলেন। শুধু তা–ই নয়, অনুরাগের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের কথা জানিয়ে পায়েল আরেকটি অভিযোগ দাখিল করেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পায়েলকে মুম্বাইয়ের ভারসোভা থানায় তলব করা হয়। সেখানেই পায়েল জানান, ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে অনুরাগ কশ্যপ একটি শুটিংয়ের সেটে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। যৌন হয়রানির বিস্তারিত লিখিত দেন পায়েল। এরপর গতকাল শনিবার ডাকা হয় অনুরাগ কশ্যপকে। এর আগে গত শুক্রবারও অনুরাগকে আট ঘণ্টা জেরা করেছে পুলিশ।

অনুরাগ ও পায়েল
ইনস্টাগ্রাম থেকে

২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার অনুরাগ তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি সব প্রমাণ নিয়ে হাজির হবেন। প্রমাণ জোগাড় করার জন্য তাঁকে পাঁচ দিন সময় দেওয়া হয়। এরপর গত শুক্রবার সকালে আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা খিমানিকে সঙ্গে নিয়ে আবারও থানায় হাজির হন অনুরাগ। জানান, অভিনেত্রী অভিযোগে যে সময়ের কথা বলেছেন, সেই সময় তিনি দেশেই ছিলেন না। তাহলে কোথায় ছিলেন? ২০১৩ সালের পুরো আগস্ট মাস তিনি শুটিংয়ের কাজে শ্রীলঙ্কায় ছিলেন। আর সেটি প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্রও হাজির করেছেন অনুরাগ।

অনুরাগ কশ্যপ
ইনস্টাগ্রাম থেকে

গতকাল প্রিয়াঙ্কা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অনুরাগ গতকাল সব তথ্যপ্রমাণ জমা দিয়েছেন। যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বানোয়াট, রাজনৈতিক। এ ধরনের ঘটনা কখনো ঘটেনি। অনুরাগের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ শতভাগ মিথ্যে। অভিযোগকারী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে চেয়েছেন। শুধু তা–ই নয়, মিটু আন্দোলনকেও বিপথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন।’
এই পরিচালক ও তাঁর আইনজীবীর আশঙ্কা, পায়েল আদালতে তাঁর স্বীকারোক্তি বদলাতে পারেন। সেই বিষয়েও আদালতকে জানিয়েছেন তাঁরা। রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হলে তাঁর মক্কেল (অনুরাগ কশ্যপ) উল্টো এই অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানান তিনি। মিথ্যা মামলা, হ্যাশট্যাগ মিটু আন্দোলনকে ভুল খাতে প্রবাহিত করা, হয়রানি ও মানহানির অভিযোগে পায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।