রণবীরের আশঙ্কাই সত্যি হলো

রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন
ফেসবুক থেকে

বলিউড তারকা স্ত্রী দীপিকা পাড়ুকোনকে নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ছিলেন রণবীর সিং। কারণ, অল্পতেই ভেঙে পড়েন দীপিকা। পর্দায় শক্তিশালী চরিত্রে অভিনয় করলেও বাস্তব জীবনে ভীষণ নরম স্বভাবের মানুষ দীপিকা। মাদককাণ্ডে জড়িত থাকার খবরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরোর (এনসিবি) সমন পাওয়ার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে উদ্বিগ্ন রণবীর। ভাবছিলেন, এনসিবির কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে না অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন দীপিকা। এই আশঙ্কাই করছিলেন রণবীর।

দীপিকা পাড়ুকোন
ইনস্টাগ্রাম থেকে

দীপিকা বকা খেয়েছেন এনসিবির কর্মকর্তাদের কাছে। তাঁরা বলেছেন, ‘এটা অভিনয়, সিমপ্যাথি বা ইমোশনাল কার্ড খেলার জায়গা নয়।’ সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে দীপিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। এনসিবির তদন্তকারী দলের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনবার কান্নায় ভেঙে পড়েন দীপিকা। তবে তাঁর চোখের পানি এতটুকু মন গলাতে পারেনি এনসিবির কর্মকর্তাদের। বরং তাঁরা দীপিকার এই আচরণে বিরক্ত হয়েছেন। কান্নাকাটির বদলে হাত জোড় করে সত্য স্বীকারের অনুরোধ করেছেন।

দীপিকার মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। যদিও সেখানকার সব তথ্যই মুছে ফেলেছেন অভিনেত্রী। তবে সেসবও পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এই বলিউড তারকার সঙ্গে কোনো মাদক সরবরাহকারীর যোগাযোগ আছে কি না। তদন্ত চলাকালে আবারও ডাক পড়তে পারে দীপিকার। কেননা, দীপিকাই মাদকসংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন।

এনসিবির তদন্তকারী দলের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনবার কান্নায় ভেঙে পড়েন দীপিকা
এএফপি

দুই দফা জেরা করা হয় দীপিকাকে। প্রথমে একা, পরে দীপিকার ম্যানেজার কারিশমা প্রকাশের মুখোমুখি বসিয়ে। এই দ্বিতীয় দফায় দীপিকা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের কথা স্বীকার করেন। স্বীকার করেন, ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ‘এন’, ‘জে’, ‘এস’, ‘ডি’, ‘আর’, ‘কে’র মধ্যে মাদক পরিবহন নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। আর এই ‘ডি’ অক্ষরের পেছনে দীপিকারই নাম প্রকাশ করা হয়েছে। আর ‘কে’-এর নাম কারিশমা। ওই চ্যাটে দীপিকা কারিশমাকে লিখেছিলেন, ‘মাল হ্যায় ক্যায়া?’ (মাল আছে?) দীপিকা জেরায় জানিয়েছেন, তিনি যে ‘মাল’ চেয়েছিলেন, তা মাদক নয়। তাঁর দাবি, তিনি জীবনেও মাদক নেননি। অন্যদিকে দীপিকার ম্যানেজার জানিয়েছেন, তিনি অন্তত ছয়বার দীপিকাকে মাদক সরবরাহ করেছেন।

মাদককাণ্ডে জড়িত সন্দেহে নাম এসেছে বলিউডের বেশ কজন তারকার। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শ্রদ্ধা কাপুর, সারা আলী খান, রাকুল প্রীত প্রমুখ। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের মুঠোফোনও জব্দ করেছে এনসিবি। যদিও সবারই দাবি, জীবনে কোনোদিনও মাদক নেননি তাঁরা।