মুম্বাইয়ে ফিরছি, কারও বাবার সাহস থাকলে আটকা

এক টুইটে তিনি দাবি করেন, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত তাঁকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘আপনি মুম্বাই ফিরবেন না।’ কঙ্গনার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছে শিবসেনা। এমনকি বলা হয়েছে, কঙ্গনাকে এই অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে।

হুমকি, পাল্টাহুমকির ওপর আছেন কঙ্গনা রনৌতকোলাজ : আমিনুল ইসলাম

এই না হলে কঙ্গনা রনৌত! যেকোনো বিষয়ে নিজের মতো মন্তব্যে ঝড় তোলেন, তর্কবিতর্কে জড়িয়ে যান। কঙ্গনা রনৌত কোনো ঘটনার তর্কবিতর্কে জড়িয়ে গেলে তা কোথায় গিয়ে শেষ হবে বলা মুশকিল। নিজ উদ্যোগে একের পর এক মন্তব্য করে তিনি সংবাদ শিরোনাম হন। সংবাদের শিরোনাম হওয়া যেন তাঁর হবি।

নতুন আলোচনা মুম্বাই বিষয়ে কঙ্গনার টুইট নিয়ে। গেল বৃহস্পতিবার কঙ্গনা রনৌত মুম্বাইকে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করেন। একটি টুইটে তিনি দাবি করেন, শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত তাঁকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘আপনি মুম্বাই ফিরবেন না।’ কঙ্গনার অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেছে শিবসেনা। এমনকি বলা হয়েছে, কঙ্গনাকে এই অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে।

মন্তব্যের ঝড় তোলায় কঙ্গনার জুড়ি নেই
ইনস্টাগ্রাম

এমন কথা কঙ্গনা আগেও বলেছেন, মাফিয়াদের থেকেও তিনি বেশি ভয় পাচ্ছেন মুম্বাই পুলিশকে। চেয়েছিলেন কেন্দ্র অথবা হিমাচল প্রদেশ পুলিশের নিরাপত্তা। সে সময় শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত লিখেছিলেন, ‘আমরা তাঁকে অনুরোধ করছি আর মুম্বাইয়ে ফেরত না আসার জন্য। মুম্বাই পুলিশকে বড্ড অপমান করেছেন তিনি। রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।’

মুম্বাই শহরে মোটেও নিরাপদ বোধ করবেন না জানিয়েও টুইটে কঙ্গনা লেখেন, ‘কখনোই মুম্বাই পুলিশের দ্বারস্থ হব না।’ এরপরই ‘কুইন’ অভিনেত্রীকে নিশানা করে পাল্টা টুইটও শুরু হয়েছে। শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত তো প্রকাশ্যেই মুম্বাইয়ে না ফেরার হুমকি দিয়েছেন। এমতাবস্থায় আগামী ৯ তারিখ মানালি থেকে মুম্বাইয়ে ফিরবেন বলে জানিয়ে দিলেন কঙ্গনা রনৌত। তাঁর টুইট, ‘কারও বাবার সাহস থাকলে আটকাও।’

এবার পাল্টাহুমকি কঙ্গনার। টুইটেই। শুক্রবার টুইটে কঙ্গনা রনৌত লিখেছেন, ‘দেখলাম, আমাকে মুম্বাইয়ে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আচ্ছা, এ সপ্তাহেই মানে ৯ সেপ্টেম্বর আমি মুম্বাই আসছি। মুম্বাই এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর পর ছবিসহ জানিয়ে দেব। কারও বাবার সাহস থাকলে আটকাও।’

কঙ্গনা রনৌত
ইনস্টাগ্রাম

শুধু শিবসেনা না, কঙ্গনাকে টুইটে আক্রমণ করেছেন তাঁর সহকর্মীরাও। রিতেশ দেশমুখ, সোনু সুদ, ঊর্মিলা মাতন্ডকর, স্বরা ভাস্কর, মীরা চোপড়া, দিয়া মির্জার মতো তারকারা জবাব দিয়েছেন কঙ্গনাকে। সোনু সুদ লিখেছেন, ‘এই শহর মানুষের ভাগ্য বদলে দেয়। সম্মান জানালে পাল্টাসম্মান পাওয়া যায়।’ ঊর্মিলা মাতন্ডকর লিখেছেন, ‘মহারাষ্ট্র ভারতের সংস্কৃতির মুখ। লাখ লাখ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছে এই শহর, তাদের নাম-খ্যাতি, অর্থ দিয়েছে। একমাত্র অকৃতজ্ঞরাই একে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করতে পারেন। দুঃখ পেয়েছি, বিরক্তিকর!’

দিয়া মির্জার পোস্টে লেখা, ‘মুম্বাই আমার ভালোবাসা। মাত্র ১৯ বছর বয়সে একা এই শহরে আসি। সে সময় মুম্বাই প্রাণ খুলে স্বাগত জানিয়েছিল। আর এত দিন আমাকে নিরাপদে রেখেছে। ২০ বছর ধরে এখানে আমার বাস, আমার কাজ। অসাম্প্রদায়িক, উদার, বৈচিত্র্যময় ও খুবই সুন্দর এক শহর।’ মীরা চোপড়া লিখেছেন, ‘আমি দিল্লির মেয়ে। পাঁচ বছর ধরে মুম্বাইয়ে বাস। একটা কথা নিশ্চিত করে বলতে পারি, মুম্বাই শহর খুবই নিরাপদ এবং এখানকার পুলিশ সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।’

রেনুকা সাহানে লেখেন, ‘মুম্বাইয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের অধীনে থাকা কাশ্মীরের সঙ্গে মুম্বাইয়ের তুলনা করা খুবই কুরুচিকর। এটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। তবে তোমার থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা বোধ হয় আমারই বোকামি।’ অবশ্য তাঁর এই টুইটের উত্তরও দিয়েছেন কঙ্গনা। লিখেছেন, ‘আপনিও এতটা নির্বোধ! আপনিও অন্যদের মতো অপেক্ষায় ছিলেন সুযোগ বুঝে আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আমাকে ক্ষতবিক্ষত করার জন্য। আমি আপনার কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করেছিলাম।’