সমুদ্রে মাছের রাজ্যে কাজলের ফুলশয্যা

মালদ্বীপে বিলাসবহুল অবকাশযাপন কেন্দ্রে কাটছে এই নবদম্পতির হানিমুন।কোলাজ: আমিনুল ইসলাম

ঘরটা কাচে ঘেরা। মেঝেতে কার্পেট, ওপরে স্বচ্ছ কাচ। নীল জলরাশিতে লেজ নাড়িয়ে সাঁতরে বেড়াচ্ছে সামুদ্রিক মাছ। বিছানায় বসে আছেন কাজল–কিসলু দম্পতি। পরস্পর মুখোমুখি, গভীর আবেশে। বিছানায় ফুল নেই বটে, তবে তাঁরা একে ফুলশয্যাই বলছেন। এমন একটি ছবি, এমন ফুলশয্যা অনেক নবীন দম্পতির জন্য কাঙ্ক্ষিত।  
মহামারির মধ্যেই চার হাত এক হলো দক্ষিণী তারকা কাজল আগারওয়াল ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনের উদ্যোক্তা গৌতম কিসলুর। ব্যাচেলর পার্টি থেকে শুরু করে হানিমুন—আজ পর্যন্ত গুনে গুনে ৯৮টি ছবি পোস্ট করেছেন কাজল। এই সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে, তা জানে না কেউ। মালদ্বীপে সাগরের নিচে বিলাসবহুল অবকাশযাপন কেন্দ্রে কাটছে এই নবদম্পতির হানিমুন।

কয়েকটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এই দম্পতি ঘনিষ্ঠ হয়েছেন পরস্পর।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

হানিমুনে গিয়ে ভক্তদের হতাশ করেননি কাজল। পাসপোর্টের ছবি থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত কেবল হানিমুনেরই ৩১টি ছবি পোস্ট করেছেন কাজল। ভাববেন না এখানেই শেষ। কেননা, তাঁরা এখনো সেখানেই আছেন। শেষ হয়নি হানিমুন। প্রতিটি ছবির নিচে জড়ো হয়েছে লাখ লাখ লাইক আর হাজারে হাজার মন্তব্য। তাঁদের হানিমুনের ছবি দেখে ভক্তরা উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত, কিঞ্চিৎ ঈর্ষান্বিতও।

বেশির ভাগ ছবিতে কাজলকে একাই দেখা গেছে। বেশ কয়েকটি 'সান কিসড পিক' শেয়ার করেছেন তিনি। তবে কিছু কিছু ফ্রেম ভাগ করে নিয়েছেন জীবনসঙ্গীর সঙ্গে। কয়েকটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এই দম্পতি ঘনিষ্ঠ হয়েছেন পরস্পর।

একটা ছবি পোস্ট করে কাজল লিখেছেন, ‘আমি মাছেদের দেখছি, নাকি মাছেরা আমাকে দেখছে?’
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

একটা ছবি পোস্ট করে কাজল লিখেছেন, ‘আমি মাছেদের দেখছি, নাকি মাছেরা আমাকে দেখছে?’ আরেকটা ক্যাপশনে তিনি বারবার মালদ্বীপে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। বলেছেন, ‘যতবার এখানে আসি, আমি স্বাধীনতার সুখ পাই, আনন্দে থাকি। আমি বারবার এই দেশে আসতে চাই।’ একটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কাজল সমুদ্রের সামনে মারমেইড ইয়োগা করছেন। আরেকটা ছবির ক্যাপশনে কাজল লিখেছেন, ‘জীবনসঙ্গীই সবকিছু।’

মালদ্বীপে বিলাসবহুল অবকাশযাপন কেন্দ্রে কাটছে এই নবদম্পতির হানিমুন।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

সমুদ্র থেকে প্রায় ১৬ ফুট নিচে কনরাড মালদ্বীপ রাঙ্গালি আইল্যান্ড হোটেলের ভেতরে আছে কাচঘেরা একটি ঘর। কাজলেরা রয়েছেন সেখানেই। যেখানে বসে সামুদ্রিক প্রাণীদের চলাফেরা দেখা যায়। সমুদ্রের নিচে ১৮০ ডিগ্রি প্যানারমিক ভিউতে বসে রেস্টুরেন্টের খাবারের তালিকা অনুযায়ী মালদ্বীপের গলদা চিংড়ি আর পশ্চিমা খাবার খাওয়া যায়। এই হোটেলে এক রাত থাকতে খরচ করতে হয় প্রায় ৫০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৪২ লাখের বেশি।

বেশির ভাগ ছবিতে কাজলকে একাই দেখা গেছে।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বিয়ে হয়েছে তাই কী? হানিমুন শেষ করেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন কাজল। পুরোদমে শুরু করবেন শুটিং। কাজলকে দেখা যাবে জন আব্রাহামের সঙ্গে, মুম্বাই সাগা সিনেমায়। তারপর দেখা যাবে কমল হাসানের সঙ্গে, ইন্ডিয়ান টু সিনেমায়।
গত জুন মাসে আংটিবদল সেরেছিলেন কাজল আগারওয়াল ও গৌতম কিসলু। এরপর গত ৩০ অক্টোবর ধুমধাম করে তাঁদের বিয়ে হয়। প্রায় তিন বছর প্রেম করার পর বিয়ে করেছেন তাঁরা। ২০০৪ সালে ‘কিউ হো গায়া না’ ছবিটি দিয়ে বলিউডে যাত্রা শুরু কাজল আগারওয়ালের। কাজের দিক থেকে কাজলকে তামিল ও তেলেগু ছবিতে বেশি দেখা গেছে। তবে বলিউডের বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।

হানিমুন শেষ করেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন কাজল।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

অজয় দেবগনের সঙ্গে ‘সিংঘাম’ ছবিতে অভিনয় করেছেন কাজল। এ ছাড়া ‘স্পেশাল ২৬ ’, ‘নায়ক’, ‘রণরঙ্গম’, ‘মগধিরা’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন। শেষ তাঁকে ‘কোমালি’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল। ‘সিংঘাম’ সিনেমার পরিচালক রোহিত শেঠির সঙ্গে প্রেমের গুজব রটেছিল কাজলের, এমনকি প্রভাসের সঙ্গেও। অবশ্য এসব নিয়ে কখনো মুখ খোলেননি তিনি।

হানিমুনে গিয়ে ভক্তদের হতাশ করেননি কাজল।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বরং গত মার্চ মাসে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কথা বলেছেন কাজল। নিজেকে কীভাবে উৎফুল্ল রাখেন, এমন প্রশ্নে কাজল জানিয়েছেন, তিনি স্পা করেন, যা যা ভালো লাগে, সেসব খাবার খান। রান্না করতেও খুব ভালোবাসেন তিনি।

একটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কাজল সমুদ্রের সামনে ইয়োগা করছেন।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

প্রায়ই তিনি থাই খাবার আর রাজমা চাওয়াল বানান। আর যখন দুশ্চিন্তায় থাকেন, তখন বিস্কুট বানাতে বসে যান। ওভেন থেকে গরম বিস্কুট বের করার সঙ্গে সঙ্গে দুশ্চিন্তা ফুড়ুৎ করে উড়ে যায় তাঁর।

কাজের দিক থেকে কাজলকে তামিল ও তেলেগু ছবিতে বেশি দেখা গেছে।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
সমুদ্র থেকে প্রায় ১৬ ফুট নিচে কনরাড মালদ্বীপ রাঙ্গালি আইল্যান্ড হোটেলের ভেতরে আছে কাচঘেরা একটি ঘর।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম