সেই টিকটক তারকার আর ‘সুশান্ত’ হওয়া হলো না

হত্যা নাকি আত্মহত্যা, সেই প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি। একাধিক রিপোর্টে বলা হয়েছে আত্মহত্যা। যদিও তা চূড়ান্ত নয়। তবে বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুকে যদি আত্মহত্যাই ধরে নেওয়া হয়, তার পেছনে সুস্পষ্ট কোনো কারণ আজও মেলেনি। এদিকে সুশান্তের মৃত্যুর পরই একাধিক পরিচালক তাঁর বায়োপিক নির্মাণের প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ, চিত্রনাট্য লিখে নামও রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন আগে আগে, যাতে এক নাম নিয়ে একাধিক পরিচালক ও প্রযোজকের ভেতর কোনো ঝামেলা না হয়।

সিনেমার নামগুলো এমন, ‘সুশান্ত: দ্য জাস্টিস’, ‘সুইসাইড অর মার্ডার: আ স্টার ওয়াজ লস্ট’, ‘শশাঙ্ক’। অনেকে আবার ২০২১ সালের ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর বর্ষপূর্তিতে ছবি মুক্তির ঘোষণাও দিয়েছিলেন। সুশান্তের চরিত্রে কাকে দেখা যেতে পারে, তাই নিয়ে চলছিল আলোচনা। ‘সুইসাইড অর মার্ডার: আ স্টার ওয়াজ লস্ট’ সিনেমায় অভিনয়ের কথা ছিল সুশান্তের মতো দেখতে টিকটক তারকা শচীন তিউয়ারির। শচীনের আর সুশান্ত হওয়া হলো না। আপাতত এই পরিচালকদের অন্য কিছু নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। কেননা, সুশান্তের বায়োপিক বানানো হচ্ছে না। দিল্লি হাইকোর্ট এই বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

সুশান্ত সিং রাজপুত
ইনস্টাগ্রাম

‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারপতি মনোজ কুমার ওহরি সুশান্তের বায়োপিক-বিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করছেন। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘বলিউড তারকা সুশান্ত সিং রাজপুতের ব্যক্তিগত জীবন, মৃত্যু, পেশাজীবন বা অন্য কোনো দিক নিয়ে কোনো বই লেখা বা সিনেমা বানানো যাবে না। সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আছে। তাঁরা চান না এই শিল্পীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি হোক। তাই আপাতত বড় পর্দায় আসছে না সুশান্তকে নিয়ে সিনেমা।’  

সুশান্ত সিং রাজপুত
ইনস্টাগ্রাম

কে কে সিং এসব সিনেমা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বানানো হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। এসব সিনেমা ঘটনার সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারে। সুশান্তের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠজনেরাই এই সিনেমার পেছনে রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কে কে সিং। এখানে তিনি নাম উল্লেখ না করে সুশান্তের সর্বশেষ প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।

রিয়া চক্রবর্তী, নেপথ্যে সুশান্ত সিং রাজপুত
ইনস্টাগ্রাম

অন্যদিকে সুশান্তের বাবা কে কে সিংয়ের পারিবারিক আইনজীবী বিকাশ সিং জানিয়েছেন, ‘একটা চলতি মামলা নিয়ে সিনেমা বানানো যায় না। তা ছাড়া আমার মক্কেল সুশান্তের বাবা ও তাঁর বোনদের বিশ্বাস, বেঁচে থাকলে সুশান্ত কখনো চাইতেন না যে তাঁর জীবন উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। সুশান্ত ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তায় বিশ্বাসী ছিলেন। এমনিতেই তাঁর আত্মহত্যা নিয়ে যা হলো, আর এখনো যা চলছে, তা অকল্পনীয়। এসবের অবসান চায়। সুশান্তের পরিবারের সুশান্ত ও তাঁদের গোপনীয়তা রক্ষার মৌলিক অধিকার রয়েছে।’