১০ বছরে ৩৬ কোটি টাকার মালিক

কার্তিক আরিয়ান
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

বলিউডে কার্তিকের বাপ-চাচা তো দূরের কথা, মামা-খালুও ছিলেন না। কেউ হাত ধরে জায়গাও করে দেননি তাঁকে। বরং ঘাটে ঘাটে হয়েছেন উপেক্ষিত, প্রত্যাখ্যাত। এই তরুণ অভিনেতাকে তবু থামিয়ে রাখা যায়নি। সাফল্য বলতে বলিউডে যা বোঝানো হয়, কার্তিক সেখানে পৌঁছে গেছেন।

কার্তিক আরিয়ান নামীদামি সব ব্র্যান্ডের মডেল। তাঁর করা ছবিগুলোও ব্যবসায়িকভাবে সফল। অনেকেই একমত হবেন, তাঁর জীবন নিয়ে একটা অসাধারণ হিন্দি ছবি বানানো যাবে। কেননা, বলিউডে যেভাবে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন, সেটা কেবল সিনেমাতেই দেখা যায়, গল্পে শোনা যায়।

সাধারণ এক মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছেন কার্তিক। সে কারণেই হয়তো ঠান্ডা মাথার ছেলে তিনি। কত কিছু ঘটল ক‍্যারিয়ারে, টু শব্দটিও করেননি কার্তিক। বিতর্ক, নেতিবাচক খবর, কুৎসা—কিছুই উত্তপ্ত করতে পারেনি তাঁকে। কখনো কোনো কোনো নায়িকাদের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন রটেছে। আবার কখনো বড় প্রযোজক ছুড়ে ফেলেছেন তাঁকে। প্রতিটি ঘটনায় বিনীত ছিলেন কার্তিক। মজার ব‍্যাপার হলো, এত ঝড়ঝাপ্টায় ভক্তরা ছেড়ে যাননি তাঁকে। যেন তাঁরাই ছিলেন কার্তিকের প্রধান শক্তি।

কার্তিক আরিয়ান

সাফল‍্যের সঙ্গে হাত ধরাধরি করে কার্তিকের হয়েছে কোটি টাকার বাড়ি–গাড়ি। বাড়িতে এসেছে টাকা। ভারসোভাতে কার্তিক কিনেছেন দেড় কোটি টাকার বাড়ি। নানা রকমের গাড়ির শখ আছে তাঁর।

গ‍্যারেজে সদর্পে দাঁড়িয়ে থাকে একটি রয়্যাল এনফিল্ড বাইক, বিএমডব্লিউ ৫ সিরিজের গাড়ি এবং একটি মিনি কুপার। সম্প্রতি ৩ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন একটি ল্যাম্বরগিনি উরুস। কার্তিকের মোট সম্পত্তির পরিমাণ এখন প্রায় ৩৬ কোটি রুপি।

কার্তিক আরিয়ান
ইনস্টাগ্রাম

ভারতের মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র শহরে জন্ম কার্তিকের। স্কুলের খাতায় তাঁর নাম কার্তিক তিওয়ারি। মা–বাবা দুজনেই ডাক্তার। তাঁরা চেয়েছিলেন ছেলেও ডাক্তার হবেন। কিন্তু কার্তিক ভর্তি হলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে।

পড়তে পড়তে শুরু করলেন মডেলিং, তারপর সিনেমাপাড়ায় ঘোরাঘুরি। তিন বছর বেশ কষ্ট করে ২০১১ সালে করলেন ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’। ডাক্তার হতে না পারলেও, মানুষের প্রিয় হতে পেরেছেন তিনি। তবে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছেন তাঁর বোন কৃতিকা তিওয়ারি। ডাক্তার হয়েছেন তিনি।

কার্তিক আরিয়ান
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কার্তিকের হাতে এখন বেশ কয়েকটি সিনেমা। ‘ধমাকা’, ‘ভুল ভুলাইয়া টু’ ছবি দুটি রয়েছে সেই তালিকায়।