১৬০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার অভিনেতা

অনুজ সাক্সেনা
ইনস্টগ্রাম

প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ভারতীয় টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা অনুজ সাক্সেনা। তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের মুম্বাই শহরের পুলিশের অর্থবিষয়ক অপরাধ শাখা। ১৪১ কোটি রুপির প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে অনুজের বিরুদ্ধে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬০ কোটি টাকার বেশি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ বেশ কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অভিনেতা ও এল্ডার ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান নির্বাহী অনুজকে গ্রেপ্তার করে তাঁর প্রতিষ্ঠানের একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে প্রশাসন। মোট ৪০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

নব্বইয়ের শুরুতে টেলিভিশন জগতে অভিনয় শুরু অনুজ সাক্সেনার। ২০০০ সালের শুরুতে সে দেশের বেসরকারি চ্যানেল সোনি টেলিভিশনে প্রচারিত ‘কুসুম’ ধারাবাহিকে অভয় কাপুরের চরিত্রে তাঁর অভিনয় বিপুল জনপ্রিয়তা পায়। এরপর ‘কুমকুম-এক প্যায়ারা সা বন্ধন’, ‘সারা আকাশ’, ‘রিশতো কি ডোর’ ধারাবাহিক, ‘চেজ’ এবং ‘পরাঠেওয়ালি গলি’তে অভিনয় করেছেন অনুজ।

অনুজ সাক্সেনা
ইনস্টগ্রাম

জানা গেছে, স্থানীয় ওষুধ তৈরি প্রতিষ্ঠান এল্ডার ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজ সাক্সেনা। এ সূত্রে তাঁর বিরুদ্ধে ১৬০ কোটি টাকার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন কোম্পানির এক বিনিয়োগকারী।

তাঁর কথা অনুযায়ী, ২০১২ সালে বিশাল অঙ্কের টাকা তিনি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন, যার সময়সীমা ২০১৫ সালে পূর্ণ হয়। কিন্তু তা পূরণ হওয়ার পরও টাকা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ওই বিনিয়োগকারী। বারবার বলা সত্ত্বেও কোনো লাভ হয়নি। সে কারণেই তিনি মামলা করেছেন।

কুমকুম-এক প্যায়ারা সা বন্ধন’, ‘সারা আকাশ’, ‘রিশতো কি ডোর’ ধারাবাহিক, ‘চেজ’ এবং ‘পরাঠেওয়ালি গলি’তে অভিনয় করেছেন অনুজ
ইনস্টগ্রাম

মুম্বাই পুলিশের যুগ্ম কমিশনার নিকেত কৌশিক জানান, অর্থ আত্মসাৎ ধারায় অভিযুক্ত অনুজ সাক্সেনার একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোট বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ ৪০০ কোটি। তবে অভিনেতা অনুজ সাক্সেনা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, তিনি ২০১৫ সালে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হয়েছিলেন।

তাঁর প্রতিষ্ঠান স্যানিটাইজার ও পারসোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট তৈরি করে। এটুকুই জানেন তিনি।

অনুজ সাক্সেনা
ইনস্টগ্রাম

২০১৫ সালের আগের এই ১৬০ কোটি টাকার কথা একেবারেই জানতেন না বলে দাবি করেছেন অনুজ সাক্সেনা। যদিও অভিনেতাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিজিৎ নান্দগাওকর জানান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ যখন অনুজ গ্রহণ করেছিলেন, তখন নিশ্চয়ই এ বিষয়ে কিছু তো জানতেন তিনি। তাই আপাতত পুলিশের অর্থবিষয়ক অপরাধ শাখার হেফাজতেই অনুজ সাক্সেনাকে রেখে জেরা করার নির্দেশ দেন তিনি।