আঁচল আউট, পরীমনি ইন

আঁচল ও পরীমনি
আঁচল ও পরীমনি

বছর দুয়েক আগে প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস জানিয়েছিলেন, তাঁর নতুন ছবি ‘মন জ্বলে’র নায়িকা হিসেবে থাকবেন আঁচল। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে এ ছবির শুটিং করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা হয়নি। শুধু একটি গানেরই রেকর্ডিং হয়েছে কেবল। বছর দুয়েক পর আবারও শুরু হচ্ছে ‘মন জ্বলে’ ছবির শুটিং। জানা গেছে, এবার বদলে গেছে এ ছবির নায়িকা। আঁচলের বদলে এখন এই ছবিতে অভিনয় করবেন এ সময়ের আলোচিত নায়িকা পরীমনি। সম্প্রতি পরীমনির সঙ্গে ‘মন জ্বলে’ ছবির কর্তৃপক্ষের চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের কাজটিও হয়ে গেছে।
‘মন জ্বলে’ ছবির শুরুতে আঁচলের বিপরীতে নায়ক হিসেবে ছিলেন সাইমন। অন্য অভিনয়শিল্পীর মধ্যে ছিলেন মিলন ও তমা মির্জা। পরের জুটির কেউ না থাকলেও পরীমনির সঙ্গে নায়ক সাইমনকে নিয়ে কোনো আপত্তি নেই পরিচালকের।
নায়িকা পরিবর্তন প্রসঙ্গে প্রথম আলোকে আজ বৃহস্পতিবার পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস বলেছেন, ‘ছবির গল্পে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রযোজকও বদলে গেছে। ছবির এখনকার যে গল্প তার জন্য সবচেয়ে মানানসই হচ্ছেন পরীমনি। তাই আমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত করেছি। আর নায়কের চরিত্রের ক্ষেত্রে খুব একটা পরিবর্তন করা হয়নি বিধায় সাইমনকে নিয়ে কোনো আপত্তি নেই।’
কবে থেকে ‘মন জ্বলে’ ছবির শুটিং শুরু করবেন—জানতে চাইলে দেবাশীষ বলেন, ‘ইচ্ছে আছে, আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই এ ছবির শুটিং শুরু করার। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে ছবির অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে একটি মহরত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। সেখানে আরও কিছু চমক থাকছে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরীমনি বলেছেন, ‘আমার আর সাইমনের “পুড়ে যায় মন” ছবিটি কিন্তু দারুণ ব্যবসা করেছে। সবাই আমাদের জুটিকে খুব এপ্রিশিয়েট করেছে। আবার নতুন একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমরা চুক্তিবদ্ধ হলাম। দর্শকদের কাছে আমাদের এ জুটিকে আরও একবার পৌঁছে দিতে চাই। আশা করছি দর্শকেরা আমাদের কাছ থেকে নতুন কিছু পাবেন।’
উল্লেখ্য, ঢাকাই ছবির এ সময়ের আলোচিত নায়িকা পরীমনি বর্তমানে ‘স্বপ্নজাল’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গিয়াসউদ্দিন সেলিম পরিচালিত এ ছবিতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করছেন ইয়াশ রোহান। বেশ কিছুদিন আগে চাঁদপুর শহরের পুরান বাজার এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ছবিটির শুটিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে।
‘মন জ্বলে’ দেবাশীষ বিশ্বাসের ৪ নম্বর সিনেমা। এর আগে তিনি ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ (২০০১), ‘শুভবিবাহ’ (২০০৯) ও ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ (২০১৩) নামে তিনটি সিনেমা পরিচালনা করেছেন।